ঘরবাড়িতে এখনও হাঁটু পানি, চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব
প্রকাশিত : ০৯:৩৮, ১৩ জুলাই ২০২৪
সিলেট ও গাইবান্ধায় বন্যার পানি নামছে ধীরে ধীরে। এখনও বানভাসীরা বাড়ি ফিরতে পারেনি বরং বেড়েছে দুর্ভোগ। চর্ম রোগসহ পানিবাহিত নানান রোগের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছে। টাঙ্গাইলে সব নদীর পানি আবারও বেড়েছে। এতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সিলেটে বন্যার পানি ধীরে নামছে। তবে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি কানাইঘাট, অমলসীদ ও ফেঞ্চুগঞ্জে নদনদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ কারণে ওসমানীনগর, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, সিলেটের ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনও প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষ বসবাস করছে। মোট পানিবন্দি মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ। ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সিলেটের পানি অপসারণ কম হচ্ছে।
তিস্তা-যমুনা ব্রহ্মপুত্র ঘাঘটসহ গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে চরাঞ্চলের বাড়িঘরে এখনও কোথাও হাঁটু ও কোমরপানি। ফলে গবাদী পশু ও মানুষ কেউ বাড়ি ফিরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। র্দীঘদিন পানবন্দি থাকায় এসব এলাকায় চর্মরোগসহ পানিবাহিত নানান রোগের প্রার্দুভাব শুরু হয়েছে। দগদগে ঘা ও চর্মরোগ নিয়ে তারা কষ্টে জীবন অতিবাহিত করছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণে টাঙ্গাইলের সব নদীর পানি আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনা, ঝিনাই, ধলেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, সদর, নাগরপুর, দেলদুয়ার ও বাসাইল উপজেলার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, ফসলী জমি তলিয়ে গেছে।
চরম বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষগুলো এবং দেখা দিয়েছে মানুষের নিরাপদ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, গো-খাদ্য ও নিরাপদ স্যানিটেশন।
জেলার ৬টি উপজেলায় এখনও ৪৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে জীবন যাপন করছেন। এদিকে বন্যার কারণে জেলার প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলের ৭২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন