ঘাস খেয়ে হলেও পরমাণু সক্ষমতা বাড়াবে উ.কোরিয়া : পুতিন
প্রকাশিত : ১৮:০৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৩৬, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। উত্তর কোরিয়া ইস্যুকে ‘আবেগ’ দিয়ে নয় বরং কূটনৈতিক উপায়েই সমাধান করতে হবে বলে জানান পুতিন। মঙ্গলবার চীনের শিয়ামেনে ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পিয়ংইয়ংয়ের উপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা চাপানো অর্থহীন। এমনকি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেও উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক সক্ষমতা উন্নয়ন কর্মসূচি থেকে বিরত রাখা যাবে না। অতি সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার জের ধরে যুক্তরাষ্ট্র যখন নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তা করছে তখনই এমন এক মন্তব্য করেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন তার সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার অস্ত্র হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়নকে বেছে নিয়েছেন। সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত ইরাকে পশ্চিমা হস্তক্ষেপ কীভাবে দেশটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে, সেটা তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন। একই পরিণতি ভোগ না করার ব্যাপারে তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, সাদ্দাম হোসেন গণবিধ্বংসী অস্ত্র উৎপাদনের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তার পতন হয়েছে এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। সাদ্দাম হোসেনের ফাঁসির মাধ্যমে এই দেশটিকে শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। এটা সবারই জানা কথা। উত্তর কোরিয়াতেও এ বিষয়টি সবার জানা আছে।
পুতিন বলেন, উত্তর কোরিয়ার সংকটকে কেন্দ্র করে যে `যুদ্ধের উন্মাদনা` শুরু হয়েছে তা পুরো দুনিয়ার জন্য ধ্বংসযজ্ঞ ডেকে আনবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, উত্তর কোরিয়া তখনই তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি ত্যাগ করবে, যখন তারা নিজেদের `নিরাপদ` মনে করবে। সেই নিরাপত্তাবোধ আসবে কীভাবে? একমাত্র আন্তর্জাতিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করেই সেটা সম্ভব।
তবে যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার উপর বাড়তি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আগ্রহী। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হেলি বলেন, বাড়তি নিষেধাজ্ঞা দিয়েই কূটনৈতিক পথে উত্তর কোরিয়াকে ফেরানো সম্ভব। তাদের উপর পুরোমাত্রার জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
চীন ও রাশিয়া অবশ্য সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের এমন পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়েছে। বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সংকট নিরসনের ব্যাপারে আগ্রহী নিরাপত্তা পরিষদের এই দুই স্থায়ী সদস্য দেশ। আর তারপরও নিরাপত্তা পরিষদে উত্তর কোরিয়ার উপর নতুন কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব করা হলেও রাশিয়া যে তাতে ভেটো দিবে, রুশ প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্যে তা স্পষ্ট।
সূত্র: সিএনএন।
এসএইচ/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন