ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ঘুমন্ত বাঙালির ওপর চলে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ (ভিডিও)

রিয়াজ সুমন, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৯, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

মানবসভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত দিন ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ। এদিন রাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী নিরস্ত্র, নিরাপরাধ ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর চালায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ। অপারেশনে সার্চ লাইটের নামে চালানো হত্যাযজ্ঞের কাল রাতে পাকসেনারা গ্রেফতার করে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে।

পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠি ২৩ বছর ধরে বাঙালির উপর যে শাসন, শোষণ আর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো, ৭১ এর ৭ই মার্চ বজ্রকণ্ঠে সেই দলিল উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু তার ১৮ মিনিটের বক্তব্যে তুলে ধরলেন বাঙালিকে গোলাম বানিয়ে রাখার সেই ঘৃণ্য চিত্র। ঐতিহাসিক এ ভাষণ শুনেই মানুষ বুঝে গিয়েছিল স্বাধীনতা আসন্ন। 

এদিকে, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মতো চলে অসহযোগ আন্দোলন। সুবিধা করতে না পেরে ২৫ মার্চ সন্ধ্যায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর নির্দেশ দিয়ে গোপনে ঢাকা ছাড়েন ইয়াহিয়া খান। এরপর নিরীহ, নিরস্ত্র বাঙালির উপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় বঙ্গবন্ধুকে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “২৫শে মার্চের কালো রাত্রিতে কি ধরনের নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সেটি বলা কোনো ভাষাতেই সম্ভব নয়। কারণ একেবারে অশীতিপর বৃদ্ধ, প্রবীন মানুষ তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে, শিশুদেরকে হত্যা করা হয়েছে, মহিলাদেরও হত্যা করা হয়েছে। এটাই চললো ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে আত্মসমর্পণের পূর্ব পর্যন্ত।”

এর আগে, ২৫ মার্চ মধ্যরাতের পর অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে তৎকালীন ইপিআর-এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতা ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কথা শোনা মাত্রই সেই সময়ের সাড়ে ৭ কোটি মানুষ একমুহূর্ত দেরি করেনি। মুক্তিযুদ্ধে তারা ঝাপিয়ে পড়েছিল।”

বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার পরই নির্ধারিত হয়ে যায় স্বাধীন বাংলাদেশের পথচলা। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। 

৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি