ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হোম টেক্সটাইল শিল্প (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৩০, ২১ নভেম্বর ২০২১
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে টেরিটাওয়েল ও হোম টেক্সটাইল শিল্প। উদ্যোক্তারা বলছেন, সূতা আমদানিতে শুল্ক হ্রাস বা প্রত্যাহার করলে এখাতের রপ্তানি আয় আরও বাড়বে। তবে স্থানীয় স্পিনিং শিল্পের সুরক্ষায় সূতায় বিদ্যমান শুল্ক বহাল রাখার পক্ষে বিটিএমএ।
গেল অর্থবছরে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলার ছাড়ায় দেশের হোম টেক্সটাইল ও টেরিটাওয়েলের রপ্তানি আয়। যারমধ্যে হোম টেক্সটাইল থেকে আসে ১ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। টেরি টাওয়েল পণ্য রপ্তানি হয় ৩৪ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলারের।
তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে টেরি টাওয়েল খাতে রপ্তানি বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯ শতাংশ। আর ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হোম টেক্সটাইলে। উদ্যোক্তারা জানান, গত কয়েক মাসে এখাতে নতুন আটটি বিদেশি ক্রেতা-প্রতিষ্ঠান পেয়েছে বাংলাদেশ।
আর এসব বিবেচনায় হোম টেক্সটাইলের বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এসিএস টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ দাউদ আকবানি বলেন, “ অ্যাজ লং অ্যাজ টেকনিক্যালি আপনি বায়ারকে স্যাটিজফাইড করতে পারবেন, আপনি এই গ্রোটা মেন্টেইন করতে পারবেন। তবে অলগ্রো করা, এক্সপোর্ট বাড়ানো একটু ডিফিকাল্ড।”
এদিকে, বিশ্ববাজারে তুলার ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধিতে স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন কাউন্টের সূতার দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে, প্রতিযোগী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও চীনের আছে নিজস্ব তুলা। তাই হোম টেক্সটাইলের অগ্রগতি ধরে রাখতে সূতা আমদানিতে শুল্ক কমানোর দাবি এখাতের উদ্যোক্তাদের।
বিটিটিএলএমইএ সভাপতি মো. শাহাদ হোসেন বলেন, “শুল্কমুক্ত আমরা বলবো না, আমাদেরকে নির্দিষ্ট ডিউটি দিয়ে সূতা আমদানি করতে দিক। আমরা শুল্ক দিয়ে সূতা আনতে চাই।”
তবে সূতায় বিদ্যমান ৩৭ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করলে দেশের স্পিনিং মিলগুলো হুমকির মুখে পড়বে বলে মনে করে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস এসোসিয়েশন-বিটিএমএ।
বিটিএমএ সহ-সভাপতি মো. ফজলুল হক বলেন, “এই ডিমান্ডটুকু আছে বলে আমাদের দেশে নতুন নতুন স্পিনিং আসতেছে, টেক্সটাইল আসতেছে, দেশে প্রচুর পরিমাণে অর্ডার আসছে। সুতরাং আমি করি, তাদের চাওয়া, ডিউটি উড্রো করা এটা সমীচিন হবে না।”
হোম টেক্সাইলের বৈশ্বিক বাজার ১০৪ বিলিয়ন ডলারের। যার মাত্র ১ শতাংশ বাংলাদেশের দখলে।
ভিডিও-
এএইচ/
আরও পড়ুন