ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

ঘুড়ে দাঁড়ানোর চেষ্টায় এমব্রয়ডারি ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৯, ২ অক্টোবর ২০২০

একদিকে ক্রেতা সংকট, অন্যদিকে বুড়িগঙ্গার এপারের সিম্পসন ঘাটটি বন্ধের সিদ্ধান্ত। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও করোনার মধ্যে ঘুড়ে দাঁড়ানো চেষ্টা করছেন কেরানীগঞ্জের এমব্রয়ডারি ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসার স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা। 

খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কেরানীগঞ্জের মিনি গার্মেন্টস পল্লীর এমব্রয়ডারি কারখানাগুলো এখন অত্যাধুনিক মেশিনে চলছে। কয়েক বছর আগেও সাধারণ মেশিনেই কাজ হতো এসব কারখানায়। গত কয়েক বছরে একটু একটু করে এখানকার এমব্রয়ডারি শিল্প অনেক দূর এগিয়েছে। 

তবে সম্প্রতি ভিন্ন রকম এক বাস্তবতা দেখছেন উদ্যোক্তারা। করোনা সংকটে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর কারখানা খুললেও অধিকাংশ পুরোপুরি সচল হয়নি। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘চলমান করোনা সংকটে ব্যবসা বাণিজ্য একদম নেই বললেই চলে। করোনার কারণে আমরা অনেক পিছিয়ে গেছি। পাশাপাশি মরার ওপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে সদরঘাট দিয়ে নৌকা পারাপার বন্ধ করার সিদ্ধান্তটি।’

তারা বলছেন, ‘ঘাট সরিয়ে যাওয়ায় আগের মতো কেনাবেচনা নেই।’

তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, দুর্ঘটনা এড়াতেই সিম্পসন ঘাটটি বন্ধ করা হলেও  এর কয়েকশ গজ দূরেই আরেকটি ঘাট সচল করা হয়েছে। 

জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, ‘বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে তদন্ত কমিটি যে সুপারিশগুলো দিয়ে আসছে, সেখানে বন্দরের মাঝামাঝি এসব খেয়াঘাটকে প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। তাই, সেগুলো সেখান থেকে স্থানান্তর করে সুবিধাজনক একটি স্থানে নেয়া হচ্ছে, যাতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা যায়।’

এদিকে, এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ। তিনি বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে যে বিশাল একটি অংশ এমব্রয়ডারি ও হাতের অন্যান্য কাজ করে জীবিক নির্বাহ করে তাদের ওপর এটি প্রভাব পড়বে। কেউ যদি আবেদন করে তাহলে সেটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবো, সেখান থেকে যে সিদ্ধান্ত আসবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

তবে সরকারের আর্থিক ও নীতি সহায়তা না পেলে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন এখানকার এমব্রয়ডারি ব্যবসায়ীরা। 

এআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি