চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনায় অনুসন্ধান শুরু
প্রকাশিত : ১৭:২৮, ৪ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৮:৪৪, ৪ জুলাই ২০১৭
চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের ঘটনায় অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। সকালে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে শিগগিরই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা জানায় এ বিষয়ে গঠিত জাতীয় কমিটি। এদিকে, কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
বর্ষা এলেই পাহাড়ে ভুমিধসের ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি এবং চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে দেড় শতাধিক মানুষ মারা যান। এর আগে, বড় ধরনের পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালে। সেসময় মারা যায় ১২৭ জন। আর সেই থেকে থামছে না পাহাড়ে মৃত্যুর মিছিল।
২০০৭ এর ভূমিধসের পরপরই গঠিত তদন্ত কমিটি পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারীদের শাস্তির আওতায় আনা, ঝঁকিপূর্ণদের সরিয়ে নেয়া, পাহাড়ের পাশে দেয়াল নির্মাণসহ ৩৬ দফা সুপারিশ তুলে ধরে। সেসব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হওয়ায় ক্রমশ মৃত্যুর তালিকা বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলেও জানান জাতীয় কমিটির নেতারা।
বনাঞ্চল ধ্বংস এবং অনিয়ন্ত্রিত ভাবে পাহাড় কাটার কারণে বাংলাদেশে পাহাড় ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
সিংক: সিটা গিরী, ডিজাস্টার রিকভারী এডভাইজার, ইউএনডিপি
পাহাড় ধস বন্ধে সরকারকে আরো কঠোর হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন বৈঠকে উপস্থিত বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।
অবৈধ ভাবে চট্টগ্রামে পাহাড়ে বসবাসকারীদের তালিকা তৈরির কথা জানিয়ে জাতীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
এদিকে, পাহাড় ধসের কারণ চিহিৃত করে শিগগিরই সরকারের কাছে প্রস্তাবনা তুলে ধরার কথা জানিয়েছে এ সংক্রান্তে গঠিত জাতীয় কমিটি।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার সৈয়দা সরোয়ার জাহানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উচ্চ পদস্থ সরকারী কর্মকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন