চট্টগ্রামে চলছে অবাধে পাহাড় কাটা
প্রকাশিত : ১১:১৯, ২৫ মে ২০১৬ | আপডেট: ১১:১৯, ২৫ মে ২০১৬
আইনত নিষিদ্ধ হলেও চট্টগ্রামে চলছে অবাধে পাহাড় কাটা। পাহাড় কেটে তৈরী করা হচ্ছে বসত বাড়ি। ফলে বাড়ছে পাহাড় ধ্বসে মৃত্যুর মিছিল। সরকারি জায়গা দখল করে বসতবাড়ি তৈরী করা হলেও পরিবেশ অধিদফতর বলছে, তারা অসহায়। লোকবল সংকটের কারনে বন্ধ করা যাচ্ছেনা অবৈধভাবে পাহাড় কাটা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সীতাকু-ের ছলিমপুরে সরকারি মালিকাধীন বিস্তৃর্ণ পাহাড় দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য বাড়ি ঘর। বৈধ কাগজপত্র না থাকলেও ভুমি দস্যুরা টাঙ্গিয়ে দিয়েছে নিজেদের নামে সাইনবোর্ড। পাহাড়কেটে ঝুকিঁপূর্ণ ভাবে বসত বাড়ি গড়ে তোলার কারনে পাহাড় ধসে ঘটছে হতাহতের ঘটনাও। ঘুনিঝড় রোয়ানুর সময় পাহাড় ধ্বসে লোকমান ঘোনায় নিহত হয় মা ছেলে সহ দু’জন। গত ১০ বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধ্বসে নিহত হয় অন্তত ১৯০জন। মৃত্যুর মিছিল ক্রমশ বাড়লেও বন্ধ হয়নি পাহাড় কেটে বসতি স্থাপন।
ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে পাহাড় কাটা হচ্ছে বলে জানান পাহাড়ে বসবাসকারীরা।
পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি স্থাপনের কথা স্বীকার করলেন এই সব ভুমিদ্যসুরা। বললেন, পাহাড়ে বসবাসকারীদের অধিকাংশই হচ্ছে স্বল্প আয়ের লোকজন।
এদিকে প্রকাশ্যে পাহাড় কেটে ঝুকিপূর্ণ ভাবে বসতি স্থাপন করা হলেও নিজেদের অসহায়ত্বের কথা জানালেন পরিবশে অধিদফতরের দায়িত্বশীল এই কর্মকর্তা। জানালেন, বার বার তাগাদা দেয়া স্বত্বেও দীর্ঘ দিন ধরে খালি পড়ে আছে ম্যাজিস্টেটের পদ। ৩৭জন লোকবলের বিপরীতে আছে মাত্র ১১জন।
চট্টগ্রামে পাহাড় কাটা বন্ধে প্রশাসকে দ্রুত কার্যকর করার পাশাপাশি পরিবেশ অধিদফতরকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টারা।
আরও পড়ুন