চট্টগ্রামে ছড়িয়ে পড়া অ্যামোনিয়া গ্যাস নিয়ন্ত্রণে
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ২৩ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১৪:৫৫, ২৩ আগস্ট ২০১৬
চট্টগ্রামে সার কারখানায় রিজার্ভ ট্যাংক বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়া অ্যামোনিয়া গ্যাস পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এখনো অনেক জায়গাজুড়ে আছে গ্যাসের গন্ধ। গ্যাসে অসুস্থ শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও শংকামুক্ত আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক। এদিকে বিসিআইসি’র তদন্ত কমিটিকে ৩ দিনস ও জেলা প্রশাসনের কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গার ১৫ নম্বর ঘাট এলাকার উল্টো দিকে কর্ণফুলীর পূর্ব পাড়ে ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানির কারখানায় রিজার্ভ ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপরই অ্যামোনিয়া গ্যাস নদীর পশ্চিম পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দর ও হালিশহরসহ আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে শহরের লোকজন। দূর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের ১০টি গাড়ি ও সার কারখানার প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থলে যান। কৃত্রিম বৃষ্টি ছিটিয়ে গ্যাস নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তারা।
তবে গ্যাসে কারখানা এলাকা ছাড়াও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীসহ নগরীর পতেঙ্গা, ইপিজেড, আগ্রাবাদ, হালিশহরে শিশুসহ অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেনে বিসিআইসির চেয়ারম্যান। অন্যদিকে অসুস্থদের দেখতে গিয়ে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পেলে বিস্ফোরণের কারন জানা যাবে।
জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহবান জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন