চট্টগ্রামে নাশকতায় শিবির-ছাত্রদল নেতাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ
প্রকাশিত : ১৯:১৫, ২৫ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ১৯:১৭, ২৫ জুলাই ২০২৪
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চট্টগ্রামে নাশকতার ঘটনায় চিহ্নিত শিবির ক্যাডার ও ছাত্রদল নেতাদের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। সিসি ক্যামরার ফুটেজ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিশ্লেষণ করে বেশ কয়েকজনকে এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে সরকারি সম্পদ ধ্বংস পরিকল্পনার ভয়ানক তথ্যও পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। নাশকতার অভিযোগে নগরীর হালিশহর থানায় নতুন করে আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের ওপর হামলার নির্দেশনা দেন চট্টগ্রামের শিবির কর্মী আনাছ উদ্দিন চৌধুরী। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামে কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের এই শিক্ষার্থী গত ১৮ জুলাই বহদ্দারহাটে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন। ছাত্র আন্দোলনকে পুঁজি করে সেদিন চাঁন্দগাও থানা ও পুলিশ বক্সেও আগুন দেওয়া হয়।
সেদিন বহদ্দারহাটে সক্রিয় ছিলেন মহসিন কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আবদুল আলী রাব্বী। নিজের মোবাইলফোনে ভিডিও চিত্রও ধারণ করেন তিনি। আগুন জ্বালানোর নির্দেশনার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি স্থানে হামলা ও ভাঙচুরে নেতৃত্ব দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালে সহিংসতায় যুক্তরা এবারও সক্রিয় ছিল। পরিকল্পনাই ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় হামলা। এদের অনেককেই এর আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে জামিন পেয়ে তারা একই ধরনের কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে।
মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে রাষ্ট্রের ক্ষতি করতেই নাশকতা চালানো হয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ আজ জানান, নাশকতার ঘটনায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে নগরীর হালিশহর থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে।
তিনি জানান, নগরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার অভিযোগে সিএমপির ১৬ থানায় মোট ১৭টি মামলা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর বহদ্দারহাটে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ, বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ এনে সিএমপির ১৬টি থানায় বুধবার পর্যন্ত মামলা হয়েছে ১৭টি। এসব মামলার মধ্যে ৯টির বাদী পুলিশ ও একটি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাকি ৭টি বিভিন্ন ব্যক্তি।
কেআই//
আরও পড়ুন