চবিতে বার্ষিক কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ১৮:৫৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৮
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সম্পাদিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ‘বার্ষিক কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারী কর্মব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় আজ বুধবার উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
চবি ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) জনাব মো. ফরহাদ হোসেন খানের সঞ্চালনায় কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
ইউজিসি’র চেয়ারম্যান তার ভাষণে ওয়ার্কশপে উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, তরুণ সমাজ আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। এ অমূল্য মানব সম্পদকে শক্তিতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতাপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছেন।
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা-উচ্চশিক্ষা-গবেষণাসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদির একটি রূপরেখা তুলে ধরে চেয়ারম্যান বলেন, বাঙালি বীরের জাতি, যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সাহস ও শক্তি বাঙালির রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের সাধারণ জনগণের অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে সার্বিক অর্থে বরাদ্দকৃত অর্থ শুদ্ধাচারের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের জন্য বাস্তবসম্মত যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর সফল বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মেধাবী তরুণদের বিশ্বায়নের পরিস্থিতি জানতে হবে এবং প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এজন্য তাদেরকে মেধা শক্তির বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে জ্ঞান সম্পদে আলোকিত হতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণায় সাফল্য, মহান মুক্তিযুদ্ধের নির্ভীক চেতনা সমুন্নত রাখতে দৃশ্যমান বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ এবং উন্নয়নের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু তনয়া আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার শিক্ষা দর্শন ‘আধুনিক বিজ্ঞানমনষ্ক গুনগত শিক্ষা’-কে সার্বিক ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ ও প্রায়োগিক অর্থে দৃশ্যমান অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এর অদম্য অগ্রযাত্রার সুফল হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গৌরবের।
আরকে//
আরও পড়ুন