ফাইন্যান্স ও একাডেমিক কাউন্সিল
চবিতে হলুদ দলের নিরঙ্কুশ জয়
প্রকাশিত : ১৬:৪০, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪১, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন হলুদ দল নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। মোট ১১ টি পদের সব কটিতেই জয় পেয়েছেন তারা। তবে সিন্ডিকেট নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ভরাডুবি হয়েছে। সিন্ডিকেট নির্বাচনে ৪ জন শিক্ষক প্রতিনিধির ২ জনই বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. কামরুল হুদা ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, ফাইন্যান্স কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের নির্বাচনে মোট ১৫টি পদের ১২ টিতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা জয় লাভ করেছে। অন্যদিকে তিনটি পদে বিএনপি-জামায়াত ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় লাভ করে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সিন্ডিকেট নির্বাচনে প্রফেসর ও এসোসিয়েট প্রফেসর ক্যাটাগরিতে সাদা দল জয় লাভ করে। অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ‘সাদা’ দলের প্রার্থী দর্শন বিভাগের প্রফেসর ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হলুদ দলের পরিসংখ্যান বিভাগের মো. এমদাদুল হক পেয়েছেন ৯১ ভোট।
সহযোগী অধ্যাপক ক্যাটাগরিতে ‘সাদা’ দলের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ড. মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন ৮৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ‘হলুদ’ দলের ইংরেজি বিভাগের সুকান্ত ভট্টাচার্য ৫১ ভোট পান।
সহকারী অধ্যাপক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শাহাদাত আল সজীব ১০৪ ভোট পেয়ে জয় লাভ করেন। অন্যদিকে, প্রভাষক ক্যাটাগরিতে ‘সাদা’ দলের কোনও প্রার্থী না থাকায় ‘হলুদ’ দলের ব্যবস্থপনা বিভাগের সেতু রঞ্জন বিশ্বাস বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটসহ ৩টি পর্ষদের নির্বাচনে ৬৬৬ জন শিক্ষকের মধ্যে ৬৩২জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই তিন পরিষদের শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনে ১১টি পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ১৯ জন। এর মধ্যে হলুদ দল সমর্থিত ১১ জন, সাদা দল সমর্থিত ৭ জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন ১ জন ।
এমজে/ এআর
আরও পড়ুন