চাঁদ দেখা যায়নি, জানা গেল শবে বরাত কবে
প্রকাশিত : ১৯:১৭, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের আকাশে ১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এতে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা করা হবে। সে হিসাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিনগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি ও ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।
ফারসি ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে বলা হয় ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। হিজরি শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি শবে বরাত হিসেবে পালন করা হয়।
হজরত মুআয ইবনে জাবাল (রা.) বলেন, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতাআলা শাবানের অর্ধ রাতে (শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন।
মহিমান্বিত এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময়ের অনুগ্রহ লাভের আশায় বেশি বেশি নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকিরে মগ্ন থাকেন। অনেকে রোজা রাখেন, দান-খয়রাত করেন। অতীতের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন।
শবে বরাত এক মহিমান্বিত রাত। এই রাতের ১৩টি নাম রয়েছে। নামের আধিক্য এর মাহাত্ম্য প্রমাণ করে। বারাআত থেকে বরাত। বারাআত অর্থ মুক্তি। আল্লাহতায়ালা এ রাতে ইমানদার বান্দাদের গুনাহ থেকে মুক্ত করেন। এ ছাড়া এ রাতকে দুআর রাত, ভাগ্য রজনী, বরকতময় রাত, নিসুফু শাবান, শাবান মাসের মধ্য রজনী, শাফাআতের রাত, ক্ষমার রাত, জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত, জীবন রাত্রি, তকদিরের রাত ও অন্য আরও অনেক নামে ভূষিত করা হয়েছে।
এমবি//