ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদাবাজি মামলায় তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৯, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড থেকে ১০ কোটি ৩১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৮ জন।

আজ বুধবার পুলিশের দেওয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাদের মামলার থেকে অব্যাহতি দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ।

অব্যাহতিপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ওবায়দুল্লা খন্দকার, কামরুজ্জামান, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম শোয়েব বাশুরী, আজিজুল করিম তারেক ও মনিজুর রহমান ওরফে মানিক।

এর আগে ৫ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায় তারেক রহমানসহ ৮ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের কোতোয়ালি জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. সাজ্জাদ হোসেন।

একইদিন প্রতিবেদনের ওপর শুনানির আজ দিন ধার্য করেন আদালত।

পুলিশের অব্যাহতির সুপারিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদী ২০০৭ সালের ৩০ জুন দরখাস্ত মারফত মামলার এজাহারে বর্ণিত চাঁদার টাকার পরিমাণ ভুল উল্লেখ করে তা সংশোধনের জন্য আবেদন করেন।

সর্বশেষ ২০০৯ সালের ৭ মে তারিখে বাদী নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য একটি হলফনামা সম্পাদন করেন। এতে তিনি উল্লেখ করেন, বিশেষ মহলের চাপে বাধ্য হয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মামলাটি দয়ের করেন এবং এজাহারভুক্তদের বিরুদ্ধে তার কোনো অভিযোগ নেই বলে মামলা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক নন।

এছাড়াও তদন্তকালে তদন্ত কর্মকর্তা বাদীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বাদী তার হলফনামায় বর্ণিত ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং এজাহারভূক্ত অপর আসামিদের তিনি চিনতেন না। এজাহারে বর্ণিত চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশের অব্যাহতির আবেদনে আরও বলা হয়, মামলার এজাহারভুক্ত অন্য আসামিরা সবাই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাদী খায়রুল বাশারকে চাপ প্রয়োগ করে এই মামলা দায়ের করতে বাধ্য করা হয় মর্মে তদন্তে জানা যায়।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি