ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

চাঁদে ২৫ দিনের মিশন শেষে মহাকাশযান ওরিয়নের অবতরণ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৯, ১১ ডিসেম্বর ২০২২

চাঁদের কাছাকাছি প্রদক্ষিণ করার পর নভোচারীদের বহনযোগ্য মহাকাশযানের সর্বোচ্চ দূরত্বে ভ্রমণ শেষে ওরিয়ন ক্যাপসুল আজ রোববার পৃথিবীতে ফিরে আসছে। ত্রুটিবিহীন ওরিয়ন ক্যাপসুলটি আর্টেমিস মিশনের চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এটি পৃথিবীতে অবতরণ করতে যাচ্ছে। 

রোববার স্থানীয় সময় ৯টা ৩৯ মিনিটে (১৭৩৯ জিএমটি) মেক্সিকান দ্বীপ গুয়াডালুপের কাছে প্রশান্ত মহাসাগরে এটি অবতরণের সময় নির্ধারিত রয়েছে।

এসময়ে প্রতি ঘন্টায় ২৫ হাজার মাইল (৪০ হাজার কিলোমিটার) বেগে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আঘাত করবে। এতে বায়ুমণ্ডলের বাধায় ক্যাপসুলটি  ২,৮০০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার মুখোমুখি হবে। 

২৫ দিনেরও বেশি সময়ের এই মিশনে সাফল্য অর্জন করা নাসার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাপসুলটি মানুষকে চাঁদে পাঠাতে এবং ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত করার কারণে আর্টেমিস প্রোগ্রামে কয়েক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই ত্রুটিবিহীন মহাকাশযানের প্রথম পরীক্ষা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এই যাত্রার শেষ মিনিটেই সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। ওরিয়নের তাপ ঢাল, যা এখন পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে বড়, সেটি বাস্তবে কতটা সফল হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার মাইক সারাফিন বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এটি মহাকাশযানে থাকা মহাকাশচারীদের সুরক্ষার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তাই এটির জন্য তাপ প্রতিরোধক শিল্ডের দরকার।’

প্রশান্ত মহাসাগরে ওরিয়ন ক্যাপসুল পুনরুদ্ধারের জন্য ইউএস নৌবাহিনীর একটি জাহাজ, ইউএসএস পোর্টল্যান্ড মহাসাগরের অবতরণ এলাকার কাছে অবস্থান করবে। বছরের পর বছর ধরে নাসা এই অনুশীলন করে আসছে। 

এ কাজে হেলিকপ্টার ও স্ফীত নৌকা ও ডুবুরি মোতায়েন করা হয়েছে।

পতনশীল মহাকাশযানটি প্রথমে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাধায় ধীর গতির হয়ে যাবে এবং তারপরে যতক্ষণ না এটি প্রতি ঘন্টায় ২০ মাইল (৩০ কিলোমিটার) গতিতে চলে না আসে ততক্ষণ ১১টি প্যারাশুটের একটি ওয়েব ব্যবহার করবে। 

অবশেষে প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলে আছড়ে পড়বে ওরিয়ন।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি