ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর যেতে পারে যেসব কারণে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৭, ২ এপ্রিল ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫৬, ৪ এপ্রিল ২০১৮

রাইসুল ইসলাম সবুজ (ছদ্মনাম) এসএসসি ও এইচএসসি সম্পন্ন করেছিলেন গ্রামেরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ২০০৪ সালে এইসএসসি পাশের পর অনার্সে ভর্তি হয়েছিলেন যশোরের এমএম কলেজে। পরের বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি সুযোগের দ্বিতীয় মেয়াদে মেধাতালিকায় স্থান পান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুক ভরা আশা নিয়ে ইংরেজির মতো ভালো একটি সাবজেক্ট ছেড়ে এসেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার আশা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়লে নিশ্চয়ই ভালো একটি চাকরি পাবেন। কিন্তু বিধিবাম। তার সে আশায় গুড়ে বালি।

সেশন জটে লেখাপড়া শেষ করে চাকরির প্রস্তুতি শুরু করতেই পেরিয়ে গেছে তার জীবনের ৩০টি বসন্ত। এখন সে চোখেমুখে দেখছে শুধুই অন্ধকার। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ মিললেও তার কপালে মেলে নি চাকরি নামক সোনার হরিণ। কারণ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা যে ৩০ বছর। যা তার আগেই পেরিয়েছে। এখন সে কায়মনো বাক্যে শুধু প্রার্থনা করছে সরকার যেন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করে। যাতে তার মতো লাখো মেধাবী ছাত্রের ভবিষ্যৎ বয়সের বেড়াজালে আটকে না যায়। যোগ্যতার মাপকাঠিতে তারাও যেন কাঙ্ক্ষিত একটি চাকরি পায়। পরিবারের মুখে হাঁসি ফোটাতে পারে।

সবুজের বাড়ি যশোর সদরের বসুন্দিয়া গ্রামে। বর্তমানে সে ঢাকায় থাকে। পরিবারের তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে বড় সন্তান সবুজ। সম্প্রতি দেখা হয় রাজধানীতে আয়োজিত চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার দাবিতে আয়োজিত মহাসমাবেশে। দেখা হতেই তিনি বলেন, ভাই আমাদের জন্য একটু লেখেন প্লিজ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটু নেক নজর হলে আমাদের মতো লাখো চাকরি প্রত্যাশীর জীবন বদলে যাবে। আমরা তো অযৌক্তিক কিছু দাবি করছি না। যৌক্তিকতা এবং বাস্তবতার নিরিখেই আমরা এ দাবি তুলে ধরছি। তিনি জানান, কায়মনোবাক্যে আমাদের এ দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে খোলাচিঠি হিসেবে পাঠিয়েছি। যেখানে লেখা ছিল-

‘হে মহান আইন প্রণয়নকারীগণ: চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর; এ গণ্ডি, এ দেয়াল, এ সীমানা প্রাচীর অবরুদ্ধ করে রেখেছে বাংলাদেশের লক্ষ-কোটি ছাত্র সমাজকে। তারা নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। উচ্চ শিক্ষিত বেকার যুব সমাজ যখন উপেক্ষিত, লাঞ্ছিত, দিশেহারা। ঠিক এমন সময় বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি স্পীকার থাকাঅবস্থায় ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি মহান জাতীয় সংসদে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে যুব সমাজ আশার আলো দেখে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ২১তম বৈঠকে ৩২ বছর করার সুপারিশ করেন। নবম জাতীয় সংসদের ১৪তম অধিবেশনে ৩৫ বছরের প্রস্তাবটি প্রথম প্রস্তাব হিসেবে গৃহীত হয়। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী এ দাবি বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছর ধরে অকাট্য যুক্তি তুলে ধরে অহিংস পদ্ধতিতে আন্দোলন করে আসছে।’

চাকরির প্রবেশের বয়স বৃদ্ধির যৌক্তিকতা: এবার আসা যাক চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা যৌক্তিকতা কতটুকু? এ দাবিতে বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারীদের যুক্তি হচ্ছে দেশের মানুসের গড় আয়ু যখন ৪৫ ছিল তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ছিল ২৭। যখন বয়স ৫০ ছাড়ালো তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা করা হলো ৩০ বছর। বর্তমানে যখন দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭১ হয়েছে তখন চাকরিতে প্রবেশের বয়স কত হওয়া উচিত?

চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোনকারী রকি এ প্রতিবেদককে বলেন, এসএসসি ও এইচএসসির রেজাল্ট ও ভর্তি এখানে ১ বছর চলে যায়। অনার্স ভর্তি রেজাল্ট, মাস্টার্স ভর্তি রেজাল্ট সংক্রান্ত ব্যাপারে ২ বছর চলে যায়। আর অনার্সের পরিধি ১ বছর বাড়ানো হয়েছে। সে দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার করলে ১+২+১=৪ বছর তো আমরা এমনিতেই পাচ্ছি না। এটা (চাকরির বয়স বাড়ানো) তো করুণা, দান বা অনুগ্রহ নয়, এটা ছাত্র সমাজের ন্যায্য অধিকার। এ চাকরি প্রত্যাশী আরও বলেন, ২২ লাখ চাকরিজীবীর বেতন তুলনামূলক হারে বাড়িয়ে ২২ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে এবং অবসরের বয়স ২ বছর না বাড়িয়ে নতুনদের সুযোগ করে দিলে কী এমন ক্ষতি হতো?

বিশ্বের অন্য দেশগুলোয় চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত: উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশগুলো তাদের জনগণকে জনশক্তিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে বয়সসীমাকে প্রাধান্য দেয়নি। অনেক দেশে অবসরের সীমা থাকলেও প্রবেশের কোনো সীমা নেই। যেমন-ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ৪০ অন্যান্য প্রদেশে ৩৮-৪০, শ্রীলঙ্কায় ৪৫, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫, ইতালিতে ৩৫, ফ্রান্সে ৪০, যুক্তরাষ্ট্রে ৫৯, কানাডাতে ৫৯, সুইডেনে ৪৭, কাতারে ৩৫, নরওয়েতে ৩৫, এঙ্গোলাতে ৪৫, তাইওয়ানে ৩৫ বচল আর আমাদের দেশে বয়সের সীমারেখা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে লক্ষ-কোটি ছাত্র সমাজকে।

শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে ১৫ বছরের পূর্বকথা: আগে জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক না হওয়ায় ১৪ বছরে এসএসসি পাস করা সম্ভব হত। এছাড়া অনার্স কোর্স ছিল ৩ বছর এবং ডিগ্রি কোর্স ছিল ২ বছর। ফলে ১৮ কিংবা ১৯ বছর বয়সে স্নাতক পাস করা যেতো। তখন ১৮ কিংবা ১৯ বছর বয়সে বিসিএসসহ পিএসসির অন্যান্য চাকরিতেও আবেদন করা যেতো। কিন্তু বর্তমানে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সার্টিফিকেটে বয়স লিপিবদ্ধ থাকার ফলে ১৬ বছরের আগে কোনোভাবেই এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া যায় না। ৩ বছরের অনার্স কোর্স ৪ বছর, ২ বছরের ডিগ্রি কোর্স ৩ বছর, ৩ বছরের ডিগ্রি কোর্সের সঙ্গে ২ বছরের মাস্টার্স ছাড়া আবেদন করা যায় না।

আইন পদ্ধতি ও সংশোধন: ৬ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তির বিধান নির্দিষ্ট হওয়ার ফলে ১৬ বছর ৩ মাস বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়। নন পিএসসি’র ক্ষেত্রে যে প্রজ্ঞাপন তাতে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ১৮ বছর। কিন্তু ১৮ বছর বয়সে ৪ বছর মেয়াদী অনার্স কীভাবে শেষ হয়? ২ বছর মেয়াদী ডিগ্রিও এখন নেই। এই অযৌক্তিক আইন কীভাবে এখনো বলবৎ থাকে। তাই বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজ দ্রুত এই ‘অকার্যকর’ আইন বাতিলের দাবি করছে।

১৬ বছর ২ মাসে এসএসসি, ১৮ বছর ৪ মাসে এইচএসসি ও ১৮ বছর ১০ মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলে ১৯ বছর বয়সে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু করলে ২৩ বছরের আগে কখনও অনার্স শেষ করা সম্ভব নয়। তাহলে কোন যুক্তিতে চাকরির আবেদনের শুরুর বয়স ২১ থাকবে? কেন এই অকার্যকর আইন এখনো প্রয়োগ করে ছাত্র সমাজকে চরমভাবে ঠকানো হচ্ছে?

চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৬ বছর এখন নির্দিষ্ট এসএসসি পরীক্ষার ক্ষেত্রে। নন পিএসসির ক্ষেত্রে ১৮ বছর- এই চলমান আইনটি এখন অকার্যকর। ক্যাডারের ক্ষেত্রে ২১ বছরের আইনটিও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে ২৩ হচ্ছে আবেদনের শুরু। যদি তাই হয়, পূর্বের ন্যায় যদি আমাদের (১৮-৩০) ১২ বছর সময় দেওয়া হয় তাহলে সহজ হিসাব ২৩ এর সঙ্গে আমাদের সুযোগ ১২ বছর যোগ করলে ২৩+১২= ৩৫ বছর। এই অকার্যকর আইনগুলো সংশোধন করলেই তো চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর এমনিতেই হয়ে যায়, এর জন্য তো কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন হয় না।

‘কোটা বৈষম্য’: এদিকে বাংলাদেশ পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে সরকারি চাকরিতে ৫৫% কোটার মাধ্যমে নিয়োগ হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো কোটা নেই। কোটাধারীরা চাকরিতেও কোটা পায়, আবার বয়সও তাদের শিথিলযোগ্য। উল্লেখ্য যে, মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, জুডিশিয়াল ও ডাক্তার ৩২ বছর পর্যন্ত চাকরিতে আবেদন করতে পারে। নার্স ৩৬ এবং বিভাগীয় প্রার্থীরা ৪০ বছর পর্যন্ত চাকরিতে আবেদন করতে পারেন। অথচ সংস্থাগরিষ্ট সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোট বৈষম্যের শিকার হচ্ছে যুগের পর যুগ।

সেশনজটের ভয়াবহ নিখুঁত চিত্র: বাংলাদেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট মুক্ত নয়। ছাত্র ও শিক্ষক অনুপাতে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী ৮৭% শিক্ষার্থী জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অধ্যয়নরত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলেও সত্য যে, সেই সর্ববৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়টিও সেশনজট মুক্ত নয়। তার প্রমাণ হিসেবে গত ৫ বছরের চিত্র তুলে ধরা হলো-

২০০৮ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় সেশন জট ছিল- ২ বছর ১১ মাস ১৮ দিন। ২০০৯ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় সেশন জট ছিল- ৩ বছর ১ মাস ০৬ দিন। ২০১০ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় সেশন জট ছিল- ৩ বছর ১২ দিন। ২০১১ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় সেশন জট ছিল- ২ বছর ১১ মাস ১০ দিন। ২০১২ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষায় সেশন জট ছিল- ২ বছর ১১ মাস ২৭ দিন। ওই পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, গত ৫ বছরে প্রতি শিক্ষাবর্ষে গড় সেশন জট ছিল ৩ বছর ২ দিন।

উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার ফরম ফিলআপ এখনো চলমান। যদিও বর্তমানে ২০১৬ সাল চলছে; তবে প্রশ্ন রয়ে যায়- ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়েছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৬% শিক্ষার্থী সেশনজটে আক্রান্ত এবং ৪% শিক্ষার্থী সেশনজট মুক্ত।

বিশেষজ্ঞরা কী ভাবছেন: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করতে চাকরি প্রত্যাশিদের দাবি কতটা যৌক্তিক তা জানতে বিশেষজ্ঞদের মুখোমুখি হয় একুশে টেলিভিশন।  এ বিষয়ে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান বলেন, এখনও যারা চাকরি পায়নি, বয়সসীমা বাড়ালেই যে তারা চাকরি পেয়ে যাবে তা আমি মনে করি না। তবে ব্যাক্তিগতভাবে আমি মনে করি, বাংলাদেশে ক্যাডার বেইসড রিক্রুটমেন্ট ফেল করেছে। এখানে পজিশন বেইসড রিক্রুটমেন্ট হওয়া দরকার। পজিশন বেইসড রিক্রুটমেন্ট হলে বয়সসীমা বাড়াতে আমি তো কোনো অসুবিধা দেখি না।

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা বাড়ানো উচিত বলে মনে করেন ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে আজাদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের গড় আয়ু যেহেতু বাড়ছে সেহেতু সরকারি চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা বাড়ানো উচিত। চাকরিতে প্রবেশের সীমা যেমন বৃদ্ধি করতে হবে সেই সঙ্গে অবসর নেওয়ার সময়ও বাড়ানো উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, বয়স নির্ধারণ করা হয় কর্মক্ষেত্রে শারিরীক দক্ষতাকে কাজে লাগানোর জন্য। কিন্তু আমরা তো চাকতি-ই দিতে পারছি না। যেহেতু দিতে পারছি না, সেখানে বয়সের বাধ্যবাধকতা অযৌক্তিক। যারা আন্দোলন করছেন, তাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। চাকরি পাবে কী পাবে না সেটা নিয়োগ পরীক্ষায় নির্ধারিত হবে। কিন্তু সে আবেদন করার অধিকার রাখে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, লেখক ও  প্রাবন্ধিক ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, চাকরি পাওয়ার অধিকার আসলে সবার-ই আছে। আমার মনে হয়, চাকরির ক্ষেত্রে আমরা যে বিষয়টা মাথায় রাখছি; সেটা হচ্ছে সব চাকরির ক্ষেত্রে বয়স একই হওয়া উচিত। সেজন্য চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ বছর বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আসলে ঢালাওভাবে সব চাকরির  ক্ষেত্রে এমন বয়স বেঁধে দেওয়া বাস্তব সম্মত না। কোনো কোনো চাকরির ক্ষেত্রে বয়সসীমা বাড়ানো যেতে পারে। যেখানে অপেক্ষাকৃত শারীরিক পরিশ্রম কম হবে। সেখানে অবশ্যই চাকরির বয়স বাড়ানো যেতে পারে। তাছাড়া যারা চাকরিতে প্রবেশ করবে তারা তো যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই ঢুকবে। তবে কেন বয়স দিয়ে তাদের আটকে দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, এ বিষয়ে আমার পৃথক কোন মন্তব্য নেই। কারণ আপনারা আমাকে একটা জায়গাতে বসিয়েছেন। আমার কাজ দায়িত্ব পালন করা। মন্তব্য করা না। রাষ্ট্র এবং সরকার আমাকে যে দায়িত্ব ও নির্দেশনা দিয়েছে, আমি সে অনুযায়ী করছি।পরবর্তীতে সরকার যদি অন্যভাবে দায়িত্ব দেয়। আমি তাও করবো।

আরকে// এআর

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি