চাকরির সাক্ষাৎকারে যে তিনটি মিথ্যা কখনোই বলবেন না
প্রকাশিত : ১৫:০৬, ২১ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৫:০৬, ২১ মে ২০১৮
চাকরি আজকাল সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। আর সেই কাঙ্ক্ষিত চাকরিটি পেতে সাক্ষাৎকারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই ‘বায়োডাটা’র সঙ্গে অনেক মিথ্যা তথ্য জুড়ে দেন, যা প্রার্থী সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে পারে। আবার অনেকেই চাকরিটি পেতে ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। দেন মিথ্যা কিছু তথ্য। তবে মনে রাখতে হবে যেসব মিথ্যা তথ্য আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনাকে একেবারে স্তিমিত করে দিতে পারে-সে বিষয়ে আপনাকে সতর্ক হতেই হবে। তাই যতদূর সম্ভব সৎ থাকেন। তাই চাকরির সাক্ষাৎকারে একেবারেই মিথ্যা বলবেন না এমন তিনটি বিষয় হলো-
১. আগের চাকরিতে কত বেতন পেতেন?
আগের চাকরিতে কত বেতন পেতেন, এ বিষয়ে ভাইভা বোর্ডে কোনো প্রশ্ন করলে কোনো মিথ্যা তথ্য দেবেন না। কারণ অনেক কোম্পানির মানব সম্পদ বিভাগের কাজ হলো প্রার্থীদের আগের চাকরির তথ্য নেওয়া। তাই ভাইভা বোর্ডেই আপনার বেতনের শীট তার হাতে থাকতে পারে, সেজন্য কোনো মিথ্য তথ্য দেবেন না। অন্যদিকে আপনার প্রত্যাশিত বেতন কাঠামো আগের বেতনের কাছাকাছি বলুন।
২. অফিস থেকে কতটা দূরে আপনার বাসা?
এ বিষয়টি নিয়ে একেবারেই মিথ্যা বলবেন না। অনেকেই চাকরি পাওয়ার আশায় বলেন, অফিস থেকে তার বাসা খুব কাছে, যাতায়াত সহজ। তবে মিথ্যা তথ্য দিয়ে চাকরি নেওয়ার পর আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি হবে। কারণ যানজটের কারণে প্রায়ই আপনাকে পৌঁছাতে দেরি হতে পারে। তাই বাসা সম্পর্কে কোনো মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না।
৩. কি কারণে আগের চাকরি ছেড়েছেন?
আপনি আপনার বসের সঙ্গে ঝগড়া করে চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, কোনো বিষয় না। আপনি এক জায়গায় চাকরি করার জন্যই আসেননি। তাই সৎ হোন। আপনি যদি ওই চাকরির যোগ্য হয়ে থাকেন, আর নিজেকে এর যোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার চাকরি হবে। তবে চাকরির সাক্ষাৎকারে আপনাকে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনিই এই পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি।
সূত্র: ইন্ডিয়ান টুডে
এমজে/
আরও পড়ুন