চামড়া খাতে বিদেশী বিনিয়োগ বেড়েছে ৪২ শতাংশ
প্রকাশিত : ১৪:৪২, ১৬ আগস্ট ২০১৮
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পে দিনে দিনে বাড়ছে এফডিআই স্টক বা পুঞ্জীভূত বিদেশী বিনিয়োগ। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত খাতটিতে বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ বেড়েছে ৪২ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে এ চিত্র দেখা গেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭ সালের মার্চ পর্যন্ত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে পুঞ্জীভূত বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ ছিল ১৮ কোটি ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ডলার। ২০১৮ সালের মার্চ পর্যন্ত এ প্রবাহের পরিমাণ ছিল ২৬ কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এ হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগ প্রবাহ বেড়েছে ৪২ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে এক বছরে পুঞ্জীভূত বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ সবচেয়ে বেশি এসেছে তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও নেদারল্যান্ডস থেকে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশগুলো থেকে আসা পুঞ্জীভূত বিদেশী বিনিয়োগ প্রবাহ ছিল যথাক্রমে ৭ কোটি ১৫ লাখ ৮০ হাজার, ৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার, ৫ কোটি ৭১ লাখ ৪০ হাজার ও ৪ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বর্তমানে চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পের বৈশ্বিক বাজার ২৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের। এ শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা অপার। এশীয় অন্যান্য দেশের তুলনায় পণ্যের মূল্য সংযোজনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে। এসব কারণেই প্রতিনিয়ত এ খাতে বিদেশীদের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়ছে।
এলএফএমইএবি সূত্রে জানা গেছে, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা খাতে অসংখ্য দেশীয় প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ থাকলেও বিদেশী বিনিয়োগ খুবই নগণ্য। এলএফএমইএবির দেড় শতাধিক সদস্যের মধ্যে ১২টি শিল্প-ইউনিট রয়েছে, যারা যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প স্থাপন করেছে। আর চারটি ইউনিট শতভাগ বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সংগঠনটির সভাপতি মো. সায়ফুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা শিল্পে বিদেশী বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক কম। গত বছর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে প্রডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছিল সরকার। নগদ প্রণোদনাসহ নানা রকম নীতিসুবিধাও ঘোষণা করা হয়েছে। পোশাক খাতের বিকল্প ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত হিসেবে এ খাতকে আরো সম্প্রসারণের সম্ভাবনা উন্মোচন হচ্ছে।
আরকে//
আরও পড়ুন