চার দফা দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রকাশিত : ২১:৪৪, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
নিরাপদ বাংলাদেশ গঠনে ৪ দফা দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিরা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তারা এই ৪ দফা ঘোষণা করেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক বিভিন্ন গুপ্তহত্যা ও হামলার ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে সারাদেশের ছাত্র সমাজ। অতীতে বেশকিছু ইস্যুতে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের নমনীয়তাকেই আজকের এহেন পরিণতির কারণ হিসেবে মনে করে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রের নিরাপত্তা জোরদার করে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিম্নোক্ত ৪ দফা দাবি পেশ করা হলো:
১. একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে যার দায়িত্ব হবে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ বা, বিগত রেজিমের আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসরদের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা বের করা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশ করতে হবে।
২. প্রতিটি থানায় কমপক্ষে ৫টি টহল গাড়ি ২৪ ঘণ্টায় টহলে থাকতে হবে। তারা ক্রাইম পেট্রোলিং করতে থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর আশপাশে বিশেষ নজরদারি রাখতে হবে।
৩. প্রতিটি ওয়ার্ড এরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থলে কমপক্ষে ৪ সদস্যবিশিষ্ট নন-লিথ্যাল ওয়েপনধারী একটি প্লাটুন বা টিম নিযুক্ত করতে হবে। তারা ওই নির্দিষ্ট এলাকার পাহারার দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবে। এদেরকে সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধকরণের পরও এই জঙ্গি সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্ট অনলাইনে ও ময়দানে সক্রিয় সব নেতাকর্মী এবং তাদের সহযোগীদের নির্মূল করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি টাস্কফোর্স গঠন করতে হবে। এই টাস্কফোর্সের কার্যক্রমকে বেগবান করতে রাষ্ট্রের সব গোয়েন্দা সংস্থার তৎপর ভূমিকা পালন করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, দাবিগুলা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মেনে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এমবি
আরও পড়ুন