চার মাসে ২০ কার্গো এলএনজি আমদানি করবে সরকার
প্রকাশিত : ২৩:২৮, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বেশকিছু দিন সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠক হয়নি। এর ফলে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি কার্যক্রমে যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে আগামী চার মাসে ২০ কার্গো এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এসব এলএনজি ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ এর পরিবর্তে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ এর আওতায় আমদানি হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সম্মেলন কক্ষে কমিটির আহ্বায়ক অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন সালেহউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে উপস্থাপিত প্রস্তাবনা অনুযায়ী, গ্যাসের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য পেট্রোবাংলার সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (এমএসপিএ) সই করা ২৩টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮’-এর আওতায় স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়।
একই সঙ্গে এর আওতায় চার মাসে ২০ কার্গো এলএনজি আমদানি করার উদ্যোগের বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে চলতি মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে ৬ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে। এছাড়া অক্টোবরে ৫ কার্গো, নভেম্বরে ৫ কার্গো এবং বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ৪ কার্গো এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা। অবশ্য এসব এলএনজি আমদানির আগে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকেও অনুমোদন নিতে হবে।
আগেও এসব প্রতিষ্ঠান থেকে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা হতো তাহলে নতুন করে নীতিগত অনুমোদনের প্রয়োজন হলো কেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সচিব মো. নূরুল আলম সমকালকে বলেন, বিগত সময়ে বিশেষ আইনের মাধ্যমে আমদানি হতো, কিন্তু এখন সরকারের সিদ্ধান্ত ওই আইনটি আর ব্যবহার হবে না। তাই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার আওতায় আমদানির নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, আগামীতে যেন জ্বালানির সঙ্কট না তৈরি হয় তাই বেশি পরিমাণে এলএনজি আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
একইদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল এবং ৬০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজ ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনা হচ্ছে। ৯৮ টাকা ২০ পয়সা দরে এ ডাল কিনতে মোট খরচ হবে ৯৮ কোটি ২০ লাখ টাকা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফার্টিগ্লোব এবং বহুজাতিক বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কাফকো থেকে ৩০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ সার কিনতে ব্যয় হবে প্রায় ২৩৮ কোটি টাকা।
কেআই//
আরও পড়ুন