চারুকলার সেই মেয়েটি
প্রকাশিত : ১৪:০৩, ১৩ মে ২০১৮
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মিম মানতাসা। ১২ হাজার প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবারই প্রথম কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এই সুন্দরী। আশা ছিল কিছু একটা করার, এমন স্বপ্ন নিয়েই তিনি অংশ নেন প্রতিযোগীতায়। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হবেন, এটা কখনও ভাবেননি।
বিজয়ী হওয়ার পর অনেকের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন। বিষয়টি বেশ উপভোগ করছেন তিনি। কারণ স্বজন ও আশেপাশের মানুষেরা দারুণ খুশি। সবাই শুভকামনা জানাচ্ছে তাকে। তবে এমন একটি প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েও জীবনযাত্রায় খুব একটা পরিবর্তন আসেনি মানতাসার।
বিষয়টি নিয়ে মিম মানতাসা বলেন, ‘অনেক ভালো লাগছে। তবে খুব বেশি পরিবর্তন এখনও বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে, যেমন ছিলাম তেমনই আছি। তবে দায়িত্বটা অনেক বেড়ে গেছে। অনেক কাজ করতে হবে।’
মানতাসার জন্ম পাবনায়। পাবনার আদর্শ গার্লস হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও মহিলা কলেজ থেকে এইচএইসসি পাস করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় ভর্তি হন। তবে পাবনায় বেশিদিন থাকা হয়নি। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় ছিলেন বেশিরভাগ সময়। মাঝখানে রাজশাহীও ছিলেন কিছুদিন।
ছোট বেলায় মানতাসা স্বপ্ন দেখতেন মহাকাশচারী হবেন। পরে ইচ্ছা হলো, পেইন্টার হবেন। সেই হিসেবেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় পড়া। কারণ তার মনে হয়েছিল, চারুকলায় তিনি ভালো করবেন। সব চেয়ে বড় কথা ড্রয়িং করতে ভালো লাগে তার।
যেহেতু তিনি একজন লাক্স তাকরা। তাই তাকে অভিনয় করতেই হবে। কারণ অনেকের প্রস্তাব আসবে তার কাছে। তবে রঙ তুলিতে অনেক ভালো ছবি আকলেও অভিনয়ে এখনও তিনি নবীণ। তাই এ সেক্টরে জয়ের মুকুটটি মাথা পড়তে হলে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে তাকে।
এ বিষয়ে মানতাসা বলেন, ‘‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্তটা হুট করেই নিয়েছি। কারণ আমি আসলে নিজেকে আরও ভালোভাবে জানতে চাই। আশেপাশের মানুষ সবসময়ই বলেছে, তুমি এটাতে (অভিনয়) ভালো করবে। তাই আমিও নিজেকে দেখতে চেয়েছি-আমি আসলেই পারব কিনা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে অভিনয়ের অনেক কিছুই শিখতে হবে, অনেক কিছুই জানতে হবে। প্রথমে আমি অবশ্যই শিখতে চাই। পরে ভাবব অভিনয়ের বিষয়টা। মাত্র বিজয়ী হয়েছি। ফলে এখনও খুব বড় পরিকল্পনা করিনি। আমি এখনও ক্যাম্পে। একটা নাটকের কথা আছে তাহসান ভাইয়ের সঙ্গে। সেটা থেকেই শুরু করব।’
এসএ/