বৈশাখ আসছে
চারুকলায় ধুম প্রস্তুতি
প্রকাশিত : ১০:৩৬, ৪ এপ্রিল ২০১৯
চৈত্রের কাঠফাটা রোদ ও কালবৈশাখীর আনাগোনা জানান দিচ্ছে যে প্রকৃতিতে বৈশাখ আসছে। আর পহেলা বৈশাখের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। এ শোভাযাত্রাকে বর্ণিল করে তুলতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এখন চলছে ধুম প্রস্তুতি। এক প্রান্তে চলছে শোভাযাত্রার শিল্প কাঠামো নির্মাণের কাজ, অন্যপ্রান্তে চলছে শোভাযাত্রার ব্যয় নির্বাহের জন্য জলরঙ, সরাচিত্র, মুখোশ, পুতুল তৈরি ও বিক্রি। দিন-রাত বিরামহীন চলছে এ প্রস্তুতি। যাকে ঘিরে পুরো চারুকলা অনুষদ এখন উৎসবমুখর ও ব্যস্ত।
বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রার দায়িত্বে রয়েছেন চারুকলা অনুষদের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে অনুষদের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক ও চারুশিল্পীরাও যোগ দিয়েছেন। গত ১৯ মার্চ ছবি এঁকে এ প্রস্তুতিকার্যের উদ্বোধন করেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী।
এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ও প্রস্তুতি নিয়ে চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন বলেন, কবিগুরু ‘নৈবেদ্য’ কাব্যগ্রন্থের ৪৮ নম্বর কবিতার ‘মস্তক তুলিতে দাও অনন্ত আকাশে’ বাণীকে শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারপরও নানা ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সে জন্যই এবারের শোভাযাত্রায় অনুপ্রেরণার উৎসব সন্ধান করা হবে।
মঙ্গল শোভাযাত্রার সমন্বয়ক তন্ময় দেবনাথ জানান, এখনও শিল্প কাঠামোর সংখ্যা চূড়ান্ত হয়নি। তবে ১০টির মত শিল্প কাঠামো থাকবে এবারের শোভাযাত্রায়। এর মধ্যে রয়েছে ঘোড়া, পাখি, উল্টা কলসি। সবচেয়ে আর্কষণীয় কাঠামো হিসেবে থাকছে বাঘ ও বকের শিল্প কাঠামো। বাঘ ও বকের রূপকথা অবলম্বনে এ শিল্প কাঠামোটি তৈরি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুর বছরেই তা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এর পর থেকে এটা বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এ আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম ধারণ করে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে এ শোভাযাত্রা।
এসএ/
আরও পড়ুন