চালের দাম নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগের কথা জানোলেন অর্থ উপদেষ্টা
প্রকাশিত : ১৮:৪৩, ৭ জানুয়ারি ২০২৫
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে যেখান থেকেই হোক খাদ্য মন্ত্রণালয়কে চাল আমদানি বাড়াতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, চালের বাফার মজুদ বাড়াতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম শুরু করা হবে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
চালের দাম বাড়ছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘একটি স্পেসিফিক আইটেম চালের ক্ষেত্রে দাম কিছুটা বেড়েছে। অন্যান্যগুলোর ওভারঅল খুব বেশি বেড়েছে, তা নয়। সাপ্লাই চেইনের কারণে এটা (চালের দাম বৃদ্ধি) হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি, যাতে মাধ্যসত্ত্বভোগীদের কারণে চালের দাম না বাড়ে। এটা মেজর কনসার্ন। চালের দাম একটু যখন বাড়ছিল তখন আমি সঙ্গে সঙ্গেই খাদ্য ও বাণিজ্য উপদেষ্টাকে বলেছি।’
আজকে খাদ্য মন্ত্রণালয়কে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করতে বলা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বলা হয়েছে আপনারা যেখান থেকে পারেন চাল আমদানি বাড়াতে হবে। চালের বাফার স্টক করে রাখেন। প্রয়োজনে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম শুরু করা হবে।
রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও দামের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ছোলা, ডাল, খেজুর ইতিমধ্যে আমদানি করা হয়েছে। সয়াবিনটাও কিছুটা সহনীয় হয়ে এসেছে। যদি দরকার হয় আমরা আবার সয়াবিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। সবচেয়ে বড় কথা হলো এখান থেকে বাজার মনিটরিংটা আরও জোরদার করতে হবে। শুধু ভোক্তা সংরক্ষণ আইন দিয়ে হবে না। এখন ২০০ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকায় নেমে এসেছে। আমাদের দেশে পণ্যের দাম বেড়ে যায় আবার নেমে যায়। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে দাম কিন্তু মোটামুটি স্থিতিশীল থাকে।
নতুন করে আবার পেঁয়াজের উপরে শুল্ক আরোপ করা হবে কিনা- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা রোজা যাওয়ার আগে আর কোনো ডিউটি কাঠামো পরিবর্তন করব না। মেসেজ দেওয়া হয়েছে, রোজা শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা শুল্কে কোনো পরিবর্তন আনব না।’
ভ্যাটের পর আয়করের আওতা নাকি বাড়ানো হচ্ছে এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে রেওয়াতি সুবিধাও তুলে নেওয়া হচ্ছে- এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আয়করটা আমরা রেশনালাইজ করব। যার সামর্থ্য আছে তাকে একই হারে কর দিতে হবে। একজনের সামর্থ্য আছে, কিন্তু অন্যভাবে ম্যানেজ করবে, সেটা যাতে না করা হয়। আমাদের করের সংগ্রহটা বাড়াতে হবে। করের আওতা বাড়াব সঙ্গে, তবে খুব বেশি বাড়াতে পারব না।’
তিনি বলেন, বহু ব্যবসায়ী আছে যাদের ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন নেই, আয়কর দেয় না। আমি ইনবিআরকে বলেছি, তোমরা কুইক একটা সার্ভে করে দেখ। থানা হেডকোয়ার্টারে একটা মুদি দোকান, দেখেন না বহু টাকা আয় করে। যারা এতদিন ব্যবসায়ে সুযোগ পায়নি কারণ লেবেল প্লেয়িং ফিল ছিল না। আমরা তাদের উৎসাহিত করব। আমরা যদি পদক্ষেপ না নিতাম তবে রিজার্ভ ২২ বিলিয়ন ডলার হতো না, ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন বকেয়া ছিল সেটাও পরিশোধ হতো না। মূল্যস্ফীতি এক পারসেন্ট কমেছে। ট্রেন্ডটা যদি আরেকটু বেটার হয়, আমরা আশা করি আরও কমে যাবে।
এমবি//
আরও পড়ুন