ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

চিকিৎসকরা কেন মধু খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জানেন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মধু! খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি পুষ্টিগুণেও এর কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। আর তাইতো চিকিৎসকগণ বেশিরভাগ রোগের পথ্য হিসেবে মধু খাওয়ার পরামর্শ  দিয়ে থাকেন। কিন্তু জানেন কি, কেন চিকিৎসকগণ মধু খাওয়ার পরামর্শ  দেন।

চিকিৎসকরা বলছেন, মধু খেলে এই ধরণের কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারতো না। একেবারেই! আসলে ভিটামিন, মিনারেল এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদানে টাসা এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে রোজের ডায়েটে জায়গা করে দিলে শরীর ভেতর এবং বাইরে থেকে এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। যেমন ধরুন...

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে: কর্মব্যস্ততা এবং আরও নানা কারণে আজকাল অনেকেই ঠিক মতো খাবার খাওয়ার সুযোগ পান না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হতে শুরু করে। আর একবার যদি শরীরের এই প্রতিরোধী দেওয়াল ভেঙে যায়, তাহলে আর রক্ষে নেই। কারণ সে সময় হাজারো রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধার সুযোগ পেয়ে যায়। তাই তো দেহের ইমিউন সিস্টেমকে চাঙ্গা রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? খুব সহজ! প্রতিদিন মধু এবং গরম জল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন রোগের ভোগান্তি আর পোয়াতে হবে না। আসলে মধুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট শরীরের অন্দরে খারাপ ব্যাকটেরিয়ার বাঁচতে দেয় না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই চাঙ্গা করে তোলে যে অন্যান্য ক্ষতিকর জীবনুও শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

২. আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমায়: নিয়মিত গরম জলে পরিমাণ মতো মধু এবং দারচিনি পেস্ট মিশিয়ে খেলে জয়েন্টে প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে হাড়ও শক্তপোক্ত হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আর্থ্রারাইটিসের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৩. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে: পরিবারে কি এই মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে? তাহলে তো বন্ধু আজ থেকেই দরচিনি এবং মধু খাওয়া শুরু করতে হবে। কারণ এই দুই প্রকৃতিক উপাদান ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৪. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে: অতিরিক্ত ওজনের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন? ফিকার নট! আজ থেকেই মধু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা বেশ কিছু উপাকারি উপাদান হজম ক্ষমতাকে এতটা বাড়িয়ে দেয় যে শরীরে মেদ জমার কোনও সুযোগই পায় না। সেই সঙ্গে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও দূরে পালায়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম জলে পরিমাণ মতো লেবু এবং মধু মিশিয়ে খেতে হবে। কয়েক মাস এই পানীয়টি খেলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।

৫.শরীর বিষ মুক্ত হয়: খাবারের সঙ্গে তো বটেই, আরও নানাভাবে একাধিক ক্ষতিকর উপাদান আমাদের শরীরে এবং রক্তে প্রতিনিয়ত মিশে চলেছে। এই সব টক্সিক উপাদানগুলিকে যদি শরীর থেকে বার না করা যায়, তাহলেই কিন্তু বিপদ! আর এক্ষেত্রে আপনাকে দারুনভাবে সাহায্য করতে পারে জল এবং মধু। কিভাব? এই পানীয়টি খাওয়ার পর পরই প্রস্রাবের হার বেড়ে যাবে। ফলে কিডনি, প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে শরীরে উপস্থিত এইসব টক্সিক উপাদানদের বের করে দিতে পারবে। ফলে কমবে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা।

৬. দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: অল্প পরিমাণ মধুতে দরচিনি ফেলে খাওয়া সুরু করুন। দেখবেন কোনও দিন দাঁতের রোগে ভুগবেন না। কারণ দারচিনি এবং মধুতে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে যা শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যেমন দাঁতকে শক্তপোক্ত করে তো, তেমনি মুখগহ্বরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ যেমন দূর হয়, তেমনি কোনও ধরনের ডেন্টাস প্রবলেম মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কাও আর থাকে না।

৭. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়: প্রতি চামচ মধুতে কম-বেশি ৬৪ ক্যালরি থাকে। এই পরিমাণ ক্যালরি শরীরে প্রবেশ করলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। কিন্তু শরীরের সচলতা বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো। এই কারণেই তো অ্যাথেলিটরা নিয়মিত মধু খেয়ে থাকেন।

এমজে/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি