চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন সৌমিত্র
প্রকাশিত : ১০:০২, ১৪ অক্টোবর ২০২০
ভারতের চলচ্চিত্র অঙ্গনের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মান পাওয়া কিংবদন্তি অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন। তার বাইপ্যাপ সাপোর্ট অর্থাৎ নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। ফলে কিছুটা হলেও আগের থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ এক বুলেটিনে এ তথ্য প্রকাশ করে। গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সেখানে ভর্তি রয়েছেন এই অভিনেতা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, আগের মতোই করোনার চিকিৎসা চলছে সৌমিত্রের। গত কয়েক দিন ধরে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল, তা অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত দু’বার প্লাজমা থেরাপি হয়েছে তাঁর। সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ স্বাভাবিক রয়েছে। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের তারতম্য রয়েছে। তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।
এ দিন ফের এক বার ইকো, ইসিজি এবং রক্তপরীক্ষা করা হয়েছে প্রবীণ এ অভিনেতার। নতুন করে এমআরআইও করা হয়। আজ বুধবার নতুন করে করোনা পরীক্ষাও করা হবে। সঙ্কট যদিও কাটেনি, তবে সৌমিত্রের অবস্থা এখন স্থিতিশীল।
এ ব্যাপারে সৌমিত্র তনয়া পৌলমী বসু বলেন, ‘বাবা আগের চেয়ে ভাল আছেন। বলা যায় খানিকটা স্থিতিশীলও। তবে ১ শতাংশ হলেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তার বাই-প্যাপ সাপোর্ট খুলে নেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে বাবাকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখার কথা ভাবছেন না চিকিৎসকরা।
উল্লেখ্য, করোনায় সংক্রমিত সৌমিত্রকে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার হাসপাতালের পক্ষে জানানো হয়েছিল, সৌমিত্রের প্রস্টেটের পুরনো ক্যান্সার ফিরে এসেছে। ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ঘটেছে মূত্রথলিতে। তার পরেই সৌমিত্রকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়।
শ্বাসকষ্ট প্রবল না হলে রোগীকে সাধারণত বাইপ্যাপ বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে নাকে-মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাড়তি চাপে অক্সিজেন-যুক্ত বাতাস পাঠানো হয় রোগীর ফুসফুসে। করোনা রোগীদের অনেকের ক্ষেত্রেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন পদ্ধতি কাজ করেছে।
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/