ঢাকা, রবিবার   ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চীনে জনপ্রিয় তিন সোস্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:১০, ১২ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:১৫, ১২ আগস্ট ২০১৭

সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় তিনটি সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম- ওয়েবো, উইচ্যাট এবং বাইদু তিয়েবার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে চীন। তাদের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইন লংঘনের অভিযোগ উঠেছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, ওয়েবো হচ্ছে টুইটারের মত মাইক্রোব্লগিং সাইট, উইচ্যাট তাৎক্ষণিক বার্তা পাঠানোর মেসেজিং অ্যাপ। আর বাইদু তিয়েবা একটি জনপ্রিয় অলোচনা ও বিতর্কের ফোরাম। এই তিনটি সাইটই সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে চীনের কোটি কোটি মানুষ।

ইন্টারনেটের উপর দেশটির কঠোর সেন্সরশিপ রয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে স্পর্শকাতর বিষয়বস্তু বন্ধ করে দেয় বা স্পর্শকাতর বিষয় কেউ খুঁজতে চেষ্টা করলে তা আটকে দেয়।

চীনের সাইবারস্পেস প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এই তিনটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সহিংসতা, সন্ত্রাস, মিথ্যা গুজব, অশ্লীলতা, পর্নোগ্রাফি এবং পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও সমাজবিরোধী কর্মকাণ্ড ছড়াচ্ছে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা লংঘিত হচ্ছে।

অবশ্য বাইদু’র মালিকপক্ষ এজন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। তারা সরকারের সঙ্গে সক্রিয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে এবং আরও কঠোর নজরদারি বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে উইচ্যাট আর ওয়েবোর মালিক সংস্থা টেনসেটের পক্ষ থেকে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গত মাসে চীন কর্তৃপক্ষ তারকাদের নিয়ে গল্পের ৬০টি জনপ্রিয় সাইট রাতারাতি বন্ধ করে দেয়। মে মাসে সরকার একটি নতুন বিধিমালাও জারি করেছে। এর আওতায় কমিউনিস্ট পার্টির অনুমোদনপ্রাপ্ত সম্পাদকীয় কর্মকর্তাদের অনলাইন পোর্টালগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক এক রিপোর্টে বলা হয়, ইন্টারনেট স্বাধীনতায় সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করে যেসব দেশ তার তালিকায় শীর্ষস্থান চীনের। চীন বিদেশি সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে। গুগুলের মত সার্চ ইঞ্জিন চীনে বন্ধ। পাশাপাশি অনেক বিদেশি সংবাদমাধ্যমের উপরও চীনে বিধিনিষেধ রয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা।

আর/ডব্লি্‌উএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি