চীনের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত ড. ইউনূসের
প্রকাশিত : ১৮:৪৯, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৮:৫৯, ২১ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার সম্পর্ককে আরও গভীর ও অর্থবহ করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। চীনের ইউনান প্রদেশের গভর্নর ওয়াং ইউবোর সঙ্গে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেন, “আমরা ভালো প্রতিবেশী হতে চাই, তবে তার চেয়েও বেশি—ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই।”
সোমবার (২১ এপ্রিল) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গভর্নরের সফরকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান ড. ইউনূস। এই সময় তিনি দুই দেশের সম্পর্কের এই সফরকে সম্ভাবনাময় সূচনার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এত কাছে, কিন্তু তবুও অনেক দূরে—আসুন, আমরা এই দূরত্ব ঘুচিয়ে দিই।’
প্রধান উপদেষ্টা তাঁর সাম্প্রতিক চীন সফরের প্রসঙ্গ টেনে চীনা সরকার ও জনগণের উষ্ণ আতিথেয়তার প্রশংসা করেন এবং প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে সম্পর্কোন্নয়নে উৎসাহব্যঞ্জক বার্তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।
গভর্নর ইউবো বৈঠকে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হতে ইউনান প্রস্তুত এবং বাংলাদেশ-চীন অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে তারা অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি জানান, ইউনানের একটি চীনা ব্যাংক ইতোমধ্যেই অধ্যাপক ইউনূসের প্রবর্তিত ক্ষুদ্রঋণ পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা সেখানে সুফল বয়ে আনছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যুব বিনিময়, বাণিজ্য, ডিজিটাল শিক্ষা ও পেশাগত প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে কুনমিংয়ে চারটি হাসপাতাল বাংলাদেশি রোগীদের জন্য উন্মুক্ত করার পরিকল্পনাকে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার নতুন অধ্যায় বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
এছাড়া, চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা আরও বাড়ানো, চীনা ভাষা শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগ এবং তরুণদের মধ্যে জ্ঞান ও সংস্কৃতি বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বৈঠকের শেষভাগে প্রধান উপদেষ্টা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছরের মাইলফলক উপলক্ষে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পারস্পরিক সমৃদ্ধির লক্ষ্যে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন