চুয়াডাঙ্গা ফার্স্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটিতে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ১৮:২৮, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
নানা রকমের পিঠা নিয়ে চুয়াডাঙ্গার ফার্স্ট ক্যাপিটাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হলো বসন্ত বরণ ও পিঠা উৎসবের।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় দিনব্যাপী এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি।
এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, ও ট্রেজারার প্রফেসর মো. আজিবর রহমান।
এছাড়া চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজীব হাসান কচিসহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিঠা উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন বিভাগের স্টলগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে বাড়ি থেকে গ্রাম বাংলার নানা ধরনের পিঠা পুলি তৈরি করে নিয়ে আসেন।
পাকান, পুলি, হাড়ি, চিতই, ডিম, মোয়া, ভাঁপাসহ নানা রকমের পিঠা বিক্রি হচ্ছে স্টলগুলোতে।
বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাত জেগে পিঠা-পুলি,পায়েস তৈরি করেছেন। সবাইকে পিঠা খাওয়াতে পেরে খুশি তারা। উৎসব ও আয়োজনে কোনো কমতি ছিলনা। শিক্ষকরাও সহযোগিতা করছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি বলেন, দেশের হারানো গৌরব ও পুরাতন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য এ আয়োজন করা হয়েছে। এটা একটা ভালো উদ্যোগ। ইতিহাস মানেই সংস্কৃতি, পুরাতন যেটা সেটাই ইতিহাস। আস্তে আস্তে হারাতে বসেছি। এটাকে গণমূখি করার জন্য এ আয়োজন। আগামীতে বৈশাখী মেলার আয়োজন করে বাংলার সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন জানান, প্রতি বছর পিঠা উৎসব আয়োজন করা হয়। এতে থাকে নানা রকমের পিঠা। তবে এবার বসন্তবরণ ও পিঠা উৎসব একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের পরিবারের সহযোগিতায় এ পিঠা তৈরি করে নিয়ে আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ক্যাম্পাসজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আয়োজনে কোনো কমতি রাখা হয়নি। বাঙালির ঐতিহ্য তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ।
এএইচ
আরও পড়ুন