চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে খাল ভরাটের অভিযোগ
প্রকাশিত : ০৯:৪১, ১২ মার্চ ২০২৩
নাসিরনগর থেকে মাধবপুর যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে একটি ব্রীজের নিচে দেয়াল তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এতে পানি নিস্কাশনে বাঁধাসহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোকর্ণ গ্রামে মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় ১৫ ফুট প্রশস্ত একটি রাস্তা তৈরি করা হয়। সেই রাস্তার সঙ্গে ২৫ ফুট প্রশস্তের প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা একটি খাল। এই খাল দিয়েই নৌকায় করে স্থানীয়রা শাক-সবজি নিয়ে মাধবপুর বাজারে যেত।
খালটি ভরাট করা হয়েছে কিছুদিন পূর্বে। এখন খালের উপর টিকে থাকা একমাত্র ব্রীজটির নিচের অংশে ইটের দেয়াল তৈরি করে খালের বাকি অংশও ভরাট করা হয়েছে।
দেখা যায়, চৈয়ারকুড়ি বাজারের পাশ দিয়ে গেছে নাসিরনগর থেকে মাধবপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। এই সড়কের পাশেই খালের উপর গোকর্ণ গ্রামে যাওয়ার সংযোগ সড়কের একটি ব্রীজের নিচে ইট দিয়ে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে খালের প্রায় এক কিলোমিটার স্থানীয়রা ভরাট করে বসত ঘর ও দোকান ঘর নির্মাণ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, একদিকে খাল ভরাট অন্যদিকে ব্রীজের নিচও ভরাট হয়ে গেছে। প্রশাসন কিছু না বললে আমাদের কি করার আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘এতদিন খাল ভরাট চলছে। এখন সরকারি টাকায় খালের পানি যাওনের রাস্তাও ভরাট করছে চেয়ারম্যান। আমরা কার কাছে বিচার দিমু।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন বলেন, ‘কয়েক বছর পূর্বে চৈয়ারকুড়ি বাজার থেকে গোকর্ণ যাওয়ার সরকারি খালটি ভরাট করা হয়েছে। তখন সরকারি কোন লোক বাঁধা দেয়নি। আমি জনস্বার্থে খালের এই অংশটি ভরাট করছি।’
কারণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি অনেক উঁচু। প্রতিদিন ৮-১০টি দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ব্রীজটির নিচে ইট দিয়ে খালের এই অংশটি ভরাট করে একটি রাস্তা করা হবে। যাতে স্থানীয়রা দুর্ঘটনা এড়িয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারেন।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘খালের পানি নিস্কাশনের জন্য পাইপ দেওয়া হয়েছে।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম জানান, সরকারি কোনো খাল বা ব্রীজের নিচে ইট দিয়ে ভরাট করার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন