চেষ্টা করা হয়েছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের ফাঁসানোর
প্রকাশিত : ১১:৫৪, ২১ আগস্ট ২০২২
নানান ধরণের নাটক সাজিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা। খোদ রাষ্ট্র ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল আওয়ামী লীগ নেতাদের। অন্ধকার থেকে সেই মামলা আলোর পথ দেখেছিল সিআইডির আব্দুল কাহার আকন্দের তদন্তে।
মুহূর্মুহু বিস্ফোরণ। চারপাশে আহতদের আর্তনাদ। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট এভাবেই রক্তাক্ত হয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউ।
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের লক্ষ্য ছিল তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার। কিন্তু নেতাকর্মীদের মানববর্ম জীবন বাঁচায় আজকের প্রধানমন্ত্রীর।
দেশকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে ভয়ঙ্কর এই ঘটনার পর উল্টো আসামি করা হয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। পরবর্তী সময়ে সিআইডির কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দের তদন্তে উঠে আসে ঘাতকসহ পরিকল্পনাকারীর নাম।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, “এই গ্রেনেড কোত্থেকে আসলো, এই গ্রেনেডের উৎস কী, গ্রেনেড সরবরাহকারি কারা ইত্যাদি তদন্তের সামনে আসলো। তখন আদালত বর্ধিত তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠিয়ে দেয়। এই মামলার আসামি মাওলানা আব্দুস সালাম, তাকে গ্রেফতার করি প্রথম। তাকে গ্রেফতারের পর ঘটনা পরিষ্কার হতে থাকে।”
কাজটি করতে গিয়ে একাধিক হুমকিও পেয়েছিলেন সিআইডির সাবেক কর্মকর্তা কাহার আকন্দ।
আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, “আব্দুল মাজেদ বাট রাষ্ট্র বিরোধী তৎপরতা চালান। বিএনপির মন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর ভাই এই সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত ছিল। এই তাজউদ্দিনকে কেন্দ্র করেই মাজেদ বাট এই গ্রেনেড আনে বাংলাদেশে। মাজেদ বাটকে পাওয়ার পরে ওই গ্রেনেডের উৎস, কারা জড়িত এবং কিভাবে তারা এই পরিকল্পনাগুলো করেছিল সমস্ত বিষয় পরিষ্কার হয়।”
তার অভিমত, বহু ধরণের তথ্য-উপাত্ত যোগার করতে চ্যালেঞ্জ ছিল পদে পদে।
আব্দুল কাহার আকন্দ আরও বলেন, “ইনভেস্টিগেশনে সব সময় দুইয়ে দুইয়ে চার হতে হবে। সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে আব্দুল মাজেদ বাট যে বাড়িতে বসবাস করতেন সেই বাড়িতেই গ্রেনেডগুলো রেখেছিলেন। তার স্ত্রীকে আমরা খুঁজে বের করেছি। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়েছি কিভাবে গ্রেনেড এনেছে, কিভাবে রেখেছে ইত্যাদি ইত্যাদি।”
এএইচ