চোখ ওঠা সারবে ঘরোয়া উপায়ে
প্রকাশিত : ১০:৫৯, ২৯ জুলাই ২০১৮
আঞ্জনি বা আইলিড সিস্ট ভাবনা বাড়ায় বর্ষা কালেই। সাধারণত আমরা ধরে নিই, চোখে নোংরা জমে বা অপরিষ্কার জলে চোখ ধুলে এই অসুখ হয়। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ধৃতি নিয়োগীর মতে, চোখের কোনও গ্রন্থিতে তেল জমে থাকলে গ্রন্থিটি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আঞ্জনির সমস্যা সামনে আসে।
চলতি কথায় একেই আমরা ‘চোখ ওঠা’ বলে থাকি। চোখে ব্যথার পাশাপাশি অনেকেরই এই সময়ে চোখে পুঁজ হয়। রক্তক্ষরণও দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে কিন্তু চোখ নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
তবে চিকিৎসকদের মতে, আঞ্জনি হলেই যে কড়া ডোজের ওষুধ বা ড্রপ ব্যবহার করতেই হবে এমন নয়। বরং সদ্য আঞ্জনি হওয়ার পর ঘরোয়া কিছু উপায় অবলম্বন করলেও সারে এই অসুখ।
তাওয়া বা চাটু গরম করে পরিষ্কার, শুকনো কাপড়ে সেই তাপ নিন। এ বার সেই কাপড় দিন চোখে। দিনে বার কয়েক এমন দিলে ক্ষতিকারক ব্যাকটিরিয়া মরে যাবে। গ্রন্থির তেলও শুকিয়ে গিয়ে আরাম পাবেন।
পেয়ারা পাতার রয়েছে জীবাণু ধ্বংস করার ক্ষমতা। প্রাকৃতিক ওষধি ক্ষমতাযুক্ত এই পাতাকে শুকনো তাওয়ায় নেড়ে তা একটি নরম কাপড়ে জড়িয়ে ধরে থাকুন চোখের উপর। দিনে বার তিনেক এমন করলে আরাম তো মিলবেই। ফের আঞ্জনি হওয়া থেকেও দূরে রাখবে এটি।
উচ্চ মাত্রায় অপকারী ব্যাকটিরিয়া ধ্বংস করে এমন তেল ব্যবহার করা যায়। যেমন ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করে অতি সহজে চোখের আঞ্জনি দূর করা সম্ভব। ক্যাস্টর অয়েলে রয়েছে প্রদাহ দূর করার ক্ষমতা।আক্রান্ত চোখে প্রথমে গরম ভাপ নিন ১০ মিনিট। তার পর একটি কটন তুলোর বলে ক্যাস্টর অয়েল মাখিয়ে আলতো করে ধরে থাকুন চোখের পাতায়। ব্যথা মরবে।
তবে যাদের বারবার আঞ্জনি হয়, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ও অবশ্যই রক্তে শর্করার পরিমাণ পরীক্ষা করান।
সূত্র- আনন্দ বাজার পত্রিকা
আরকে//