চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলবে সাকিব? যা বললেন বিসিবি বস
প্রকাশিত : ২১:৩০, ৩ জানুয়ারি ২০২৫
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে চেয়েও পারেননি দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব আল হাসান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট সিরিজেও খেলতে পারেননি সাকিব। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজেও জাতীয় দলের বিবেচনায় ছিলেন না দেশসেরা এ ক্রিকেটার। দল পেয়ে খেলতে আসতে পারেননি বিপিএলেও। এক কথায়- সাকিবকে যেন ভুলতেই বসেছে দেশের ক্রিকেট। এমন সময় হঠাৎ তাকে দলে ফেরানোর কথা বললেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ।
আগামী মাস থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। মর্যাদার এই আসরে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা সাকিবকে পেতে চাইছে বিসিবি। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে একথা জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান।
আজ (শুক্রবার) মিরপুরে প্রেসবক্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সেখানে সাকিবের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা প্রসঙ্গে ফারুক জানান, সাকিব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মাঝে মাঝে যোগাযোগ চলছে। নিজেও আরেকবার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে তাকে দলে ফেরানোর চেষ্টা করবেন বলে জানান বিসিবি সভাপতি।
ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম বিষয় হলো– সাকিবের তো এখনও অবসর হয়নি, তেমন কিছু হয়নি তার। যদি সাকিব অবসর নিয়ে ফেলতো তাহলে তো বলতাম যে সে আর নাই। ওর যা ইস্যুগুলো আছে সেগুলো নিয়ে সে মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে, ওইটা (রাজনৈতিক জটিলতার বিষয়ে) কি করা যায়। ওই ব্যাপারগুলোয় আমার সাহায্য করার কোনো ব্যাপার নেই। এটা আগেও বলেছি, এখনও বলছি। এটা শুধুমাত্র সরকারী পর্যায় থেকে যদি নিদের্শনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে, ওগুলো যদি ঠিক করতে পারে, তাহলে আমার মনে হয় একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’
চলমান বিপিএলের মাঝেই কোনো সিদ্ধান্তে আসারও ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, ‘(সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত আসার পর) পরবর্তীতে তার ফিটনেস–মানসিক শক্তি দেখে সিলেকশন কমিটি আছে, তারা সিদ্ধান্ত নেবে। সাকিবের সঙ্গে আমার নিয়মিতই কথা হতো। গত কিছুদিনে কথা হয়নি। সে অবশ্যই (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) খেলতে চায়। এই বিপিএলের মধ্যেই ওকে নিয়ে কিছু একটা করতে হবে। সাকিবকে নিয়ে আরেকবার চেষ্টা করব চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে। এটা নিয়ে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলব।’
প্রসঙ্গত, সাকিবকে সর্বশেষ জাতীয় দলে দেখা গেছে গত সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে। কানপুরে অনুষ্ঠিত টেস্টটিই ছিল ফরম্যাটটিতে তার বিদায়ী ম্যাচ। যদিও এর পরের মাসেই বাংলাদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ দিয়ে তিনি টেস্ট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর নিরাপত্তাজনিত কারণে আটকে যায় তার দেশে ফেরা। একইভাবে জাতীয় দলেও আর আসা হয়নি সাকিবের।
এমবি