ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ছবিটা ভিন্ন হওয়ার কথা ছিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:০৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

তাইজুলের প্রতিভার দেখা মিলল খুব কমই। সবাই আশা করেছিল স্পিন দিয়েই শ্রীলঙ্কা বধ হয়ে যাবে। কিন্তু বিধি বাম। বাংলাদেশ দলের স্পিন আক্রমণই নির্বিষ হয়ে থাকল। মাঠের ক্লোজ-ইন ফিল্ডারদের কাতর কণ্ঠ কানে বাজল, ‘মিরাজ বল ঘুরা, তাইজুল বল ঘুরা’—বল যে ঘোরে না! কখনো-সখনো যদিও বা বাঁক খায়, তাতে পরাস্ত হয়ে শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানরা এক-আধটু সুযোগ দিলেও সেটি হাতছাড়া হয় ক্লোজ-ইন ফিল্ডারদের ব্যর্থতায়।

বলবেন, উইকেটপ্রাপ্তিতে স্পিনাররাই সফল। শ্রীলঙ্কার যে ৯ উইকেট পড়েছে, ৮টিই বাংলাদেশের স্পিনারদের। স্কোয়াডে থাকা ছয় বিশেষজ্ঞ স্পিনার থেকে নিয়েছেন তিনজন, বেশির ভাগ উইকেট তাঁদের ঝুলিতে যাবেই। কিন্তু একটা উইকেট পেতে কেন চাতক পাখির মতো অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশকে? মিরাজ-তাইজুলদের একটা উইকেটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে গড়ে ২২ ওভার, গুনতে হয়েছে ৮০ রান করে।

অথচ ছবিটা ভিন্ন হওয়ার কথা ছিল। চট্টগ্রাম টেস্টের আগে দুই দল থেকেই যেভাবে স্পিন-স্পিন আওয়াজ উঠল, গত চার দিনে সেটির প্রতিফলন কমই দেখা গেল। স্পিন-সহায়ক উইকেট ভেবে দুই দলই তিনজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়েছে। সাকিব আল হাসান না থাকার পরও বাংলাদেশ এক পেসার নিয়ে খেলার ঝুঁকি নিয়েছে। কিন্তু উইকেটের সহায়তা নিয়ে স্পিনাররা দাপট দেখাতে পেরেছে কোথায়?

চার দিনে তিন ইনিংস শেষ হয়নি, স্কোরবোর্ডে ১৩০৭ রান ওঠা দেখে বুঝতেই পারছেন কাদের দাপট ছিল। ব্যাটসম্যানদের বিক্রমেও বোলাররা যতটুকু সফল হয়েছেন, তাতে বাংলাদেশের তুলনায় শ্রীলঙ্কান স্পিনাররা এগিয়ে।

গত তিন দিনের খেলায় সংবাদ সম্মেলনে যারা এসেছেন তারা বলে গেছেন, ‘ভালো উইকেট, ব্যাটিং উইকেট। হয়তো কাল থেকে স্পিন ধরবে।’ সেই ‘কাল’টা এখনো আসেনি। দেখার মতো স্পিন চার দিনেও ধরেনি। উইকেট ফাটেনি, ধুলো সেভাবে ওড়েনি। ফুট মার্কগুলোও ভয়ংকর হয়ে ওঠেনি।

২১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট পাওয়া তাইজুলের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার, ‘এটা পুরোপুরি ব্যাটিং উইকেট ছিল। তবে আমার মনে হয় সেভাবে বোলিংটা আমরা করতে পারিনি। ব্যাটিং উইকেট, অবশ্যই ভালো উইকেট ছিল। কিন্তু আমরা মনে হয় ১০০ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি।’

ব্যাটিং উইকেটই যদি হবে, টেস্টের আগে কেন ধারণা হলো এটা হতে পারে স্পিন-সহায়ক উইকেট! তবে কি ভুল ধারণা নিয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ? খুব স্পর্শকাতর প্রশ্ন। এতটাই স্পর্শকাতর, সংবাদ সম্মেলনে চুপই হয়ে গেলেন তাইজুল।

তাইজুলের আর বলার কিছু নেই। এই টেস্টে বাংলাদেশ যেভাবে কোনঠাসা হয়েছে এর কারণ খুঁজে পাওয়া বড়ই দুষ্কর।

 
এসি/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি