ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

‘ছাত্রদের পক্ষে ছিলাম, আমাকে বাঁচান প্লিজ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৮:৪১, ২০ নভেম্বর ২০২৪

জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় অভিযুক্ত আসামী গুলশান থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

 বুধবার (২০ নভেম্বর) ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে এজলাস কক্ষে কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম। আমি কোনো শিক্ষাথীকে হত্যা করিনি। আমাকে বাঁচান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনা ঘটে।

এজলাস কক্ষে মাজহারুল ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্টে আন্দোলন চলাকালে আমি কখনও সাভারের ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করিনি। আমি তখন গুলশানের ওসি ছিলাম। 

এর আগে, শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ভুলবশত উল্লেখ করে ওসি মাজহারুল ইসলাম সাভার এলাকায় গণহত্যায় সম্পৃক্ত ছিলেন। তখন চিৎকার করে মাজহারুল ইসলাম বলেন, আমি কখনও সাভারে দায়িত্ব পালন করিনি। জুলাই-আগস্টে আমি গুলশান থানায় ছিলাম। আমি গণহত্যায় জড়িত ছিলাম না।

তখন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বলেন, আপনি নির্দোষ হলে সুবিচার পাবেন। 

এরপর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ভুল সংশোধন করে বলেন, মাজহারুল ইসলাম আন্দোলন চলাকালে গুলশান থানার ওসি ছিলেন। তার নেতৃত্বে গুলশান প্রগতি সরণি এলাকায় গণহত্যা চালানো হয়েছে।

পরে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। 
একইসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালের মামলায় কারাগারে রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

বুধবার সকালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক পুলিশ প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকসহ আট কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। 

এর আগে প্রিজন ভ্যানে করে ৮ কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

কর্মকর্তারা হলেন- সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, ঢাকা জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল কাফি, মিরপুর ডিএমপির সাবেক ডিসি মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, ঢাকার সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুর ইসলাম, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, গুলশান থানার সাবেক ওসি মাজহারুল হক এবং ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।

উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল প্রসিকিউশনের আবেদন মঞ্জুর করে এই ৮ কর্মকর্তাকে হাজির করতে নির্দেশ দেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি