ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত : ২১:০৫, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের চার কর্মীর ওপর হামলার ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজুল ইসলাম তাজু ভুঁইয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মী এম সজিবের মা বুলি বেগম বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুকে প্রধান করে ১১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১৮ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।
গ্রেপ্তার তাজু চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানি লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাকা মিয়ার ছেলে। তিনি এজাহারভুক্ত ২ নম্বর আসামি।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবু। সোমবার অভিযান চালিয়ে চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। পরে রাতে তাদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
পরে আহত অবস্থায় ওই চারজনকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সজীব, সাইফুল ও রাফিকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
সজীবের মা ও মামলার বাদী বুলি বেগম বলেন, আমার ছেলের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। আমি অভিযুক্তদের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। অন্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, আহত সজীব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। আহত সাইফুল, জয় ও রাফি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী। তারা চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদের অনুসারী। প্রায় এক মাস আগেও মাসুদসহ আহত কর্মীরা অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী বাবলুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিল।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন