ছাত্রলীগের সম্মেলনে আলোচনায় যারা
প্রকাশিত : ১৫:৪২, ১১ মে ২০১৮ | আপডেট: ১৬:১৭, ১১ মে ২০১৮
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার। সম্মেলনের শেষে জানা যাবে গুরুত্বপূর্ণ এই নির্বাচনী বছরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনটির নেতৃত্বে আসছেন কারা। বরাবরই সম্মেলনের ঠিক আগে আগে সব হিসাব-নিকাশে এগিয়ে থাকা প্রার্থীদের নাম শোনা যায়। কিন্তু এবারের সম্মেলন ব্যতিক্রম। এখনও পর্যন্ত কোনো সূত্রই নিশ্চিত করতে পারছে না কারা আসছেন নেতৃত্বে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবার নেতৃত্ব বাছাই প্রক্রিয়া তদারকি করায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এবার ছাত্রলীগের নেতৃত্ব বাছাইয়ে পারিবারিক পরিচিতি, নিয়মিত ছাত্রত্ব, সংগঠনের জন্য ত্যাগ এবং এলাকালও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। জরুরি হয়ে উঠবে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টও। সে বিবেচনায় বেশ কয়েকজন প্রার্থীর নাম বেশ জোরেসোরেই উচ্চারিত হচ্ছে।
গত কয়েকটি সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বে এসেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এছাড়াও ছাত্রলীগের সম্মেলনে অঞ্চল একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ঐতিহ্য বলছে, বৃহত্তর বরিশাল এবং ফরিদপুর অঞ্চল থেকে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় নেতৃত্ব রাখা হয়। এবার খুলনা, রংপুর ও চট্টগ্রাম থেকেও নেতৃত্ব নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
২০১৫ সালের ২৫ ও ২৬ জুলাই সর্বশেষ ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সাইফুর রহমান সোহাগকে সভাপতি ও এসএম জাকির হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে ১১ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সম্মেলন শেষে ১৮ জুন আবিদ আল হাসানকে সভাপতি এবং মোতাহার হোসেন প্রিন্সকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠিত হয়।
শেষ মুহুর্তে যারা আলোচনায়-
এবারের সম্মেলনে শেষ মুহুর্তে খুলনা বিভাগ থেকে শোনা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মোহাতার হোসেন প্রিন্স ও জহুরুল হক হলের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদারের নাম। বরিশাল অঞ্চল থেকে কেন্দ্রীয় উপ-কৃষি শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আরিফ ইবনে আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ-সম্পাদক কে এম ইমরান এবং বিজয় একাত্তর হলের সাবেক সভাপতি শেখ ইনান এগিয়ে আছেন।
চট্টগ্রাম থেকে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আদিত্য নন্দী এবং উত্তরবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ানুল হক শোভনও আলোচনায় আছেন।
নির্বাচনী বছরে অভিজ্ঞতা বিবেচনায় এবং শেখ পরিবারের আশির্বাদ থাকায় সব দিক থেকেই এগিয়ে আছেন মোতাহার হোসেন প্রিন্স। শেষ মুহুর্তে বড় কোনো পরিবর্তন না ঘটলে প্রিন্সই হতে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের নতুন কান্ডারী।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বরিশাল থেকে স্বচ্ছ ইমেজ এবং তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞান থাকায় আরিফ ইবনে আলী এবং প্রধানমন্ত্রীর এক ব্যক্তিগত সহকারীর আশির্বাদ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটিতে চমক হিসেবে ঢুকে যেতে পারেন মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান কে এম ইমরান।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলন শুরু হয়েছে শুক্রবার। শেষ হবে আগামীকাল শনিবার। শুক্রবার বিকেল ৩টায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন বলে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
এসএইচ/
আরও পড়ুন