ছায়ানটে ‘কত্থক নৃত্য উৎসব’
প্রকাশিত : ১২:১৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
শাস্ত্রীয় সংগীতের মতো শাস্ত্রীয় নৃত্যের সমঝদারদের সংখ্যাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিল্পের সুষমা ছড়াতে কত্থক নৃত্যের শিল্পীরা শুধু নুপুরের রিনিঝিনির শব্দে দ্যোতনাই সৃষ্টি করে না, দোলা দিয়ে যায় উচ্চমার্গীয় এই শাস্ত্রীয় নৃত্যানুরাগীদের হৃদয়ের গহীনেও। কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়ের আয়োজনে রোববার থেকে রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানটের ছায়ানট মিলনায়তনে শুরু হয়েছে তিনদিনের ‘কত্থক নৃত্য উৎসব’।
নৃত্যোৎসবে আগত নৃত্যানুরাগীদের কত্থক নৃত্যের শাস্ত্রীয় মুদ্রায় দোলায় দোলায়িত করা আগে পৌষের সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী আয়োজন। এই আয়োজনে মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে উৎসবের উদ্বোধন করেন নৃত্যজন লায়লা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের ব্যালে ট্রুপের প্রতিষ্ঠাতা আমানুল হক, সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আনিসুল ইসলাম হিরু।
উদ্বোধনী সন্ধ্যায় নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দোপাধ্যায়কে প্রদান করা হয় ‘জীনাৎ জাহান স্মৃতি সম্মাননা পদক’।
উদ্বোধন পর্ব শেষে আয়োজক সংগঠনের ১২ জন শিল্পী পরিবেশন করেন ‘ভাবনায় সাত অবয়ব’ শিরোনামের কত্থক নৃত্য। নূপুরের ঝংকারে অভিব্যক্তির সঙ্গে মুদ্রার মেলবন্ধনে পরিবেশিত হয় বন্দনা, চতুরঙ্গ, পানঘাট, মেঘমল্লিকা, তারানাসহ নানা আঙ্গিকের নাচ। এই প্রযোজনাটির নেপথ্যে কণ্ঠ দেন মোস্তাক আহমেদ, সরোদে ইউসুফ খান ও তবলায় ছিলেন জাকির হোসেন।
আজ সোমবার উৎসবের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় নৃত্য পরিবেশন করবে বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, আঙ্গিকাম, নূপুর নিক্কন, অগ্নিলা নৃত্য নিকেতন, গন্তব্য, বগুড়ার আমরা কজন শিল্পীগোষ্ঠী, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, নৃত্যাশ্রম, পুষ্পাঞ্জলি, রিনিঝিনি ললিতকলা একাডেমি, রেওয়াজ পারফর্ম আর্টস, বেনুকা, অনন্যাসহ ১৪টি নৃত্য সংগঠন।
এর আগে সকালে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলা অঞ্চলের টেরাকোটায় প্রাপ্ত নৃত্যবৈচিত্র্য’ শীর্ষক এক সেমিনার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নৃত্য গবেষক-সাংবাদিক শেখ মেহেদী হাসান। মুখ্য আলোচক থাকবেন নৃত্যব্যক্তিত্ব লায়লা হাসান, অধ্যাপক ড. নিগার চৌধুরী, মুনমুন আহমেদ, এম আর ওয়াসেক এবং দেশের বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন- সাজু আহমেদ। অতিথি হিসেবে থাকবেন- মীনু হক, গোলাম কুদ্দুস, নীলুফার ওয়াহিদ পাঁপড়ি, ফাতেমা কাশেম।
আজ অনুষ্ঠানে পরিবেশনায় থাকবে- জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু-কিশোর শিল্পী ও ঢাকার বাইরের শিল্পীবৃন্দ।
আগামীকাল শেষ হবে তিনদিনের এই নৃত্য উৎসব। সমাপনী সন্ধ্যায় নৃত্য পরিবেশন করবে নৃত্যাঞ্চল, নৃত্যশৈলী, পুষ্পাঞ্জলী, খুলনা, নৃত্যাশ্রম, কত্থক নৃত্য সম্প্রদায়, অগ্নিলা নৃত্য নিকেতন, নৃত্যালয়, আকৃতি, আঙ্গিকাম ও রেওয়াজ পারফর্ম আর্টস।
এসএ/