ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ছেলেকে বিয়ে দিয়ে সুখী করার ৮ উপায়

প্রকাশিত : ১৯:৪৮, ১০ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২১:৩২, ১০ জুলাই ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

জীবনে সুখী হওয়া মানব জাতির স্বভাবজাত চাওয়া। এই চাওয়ার বাস্তবায়ন কারো হয়, কারো হয় না। তবে একজন ছেলের জীবনে সুখী হওয়ার এ হিসেব-নিকেশটা সবচেয়ে বড় হয়ে উঠে তার বিয়ের সময়। কারণ বিয়ের পর ছেলেকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দায়ীত্বশীল হওয়া জরুরি। এসব ক্ষেত্রে ছেলের ব্যর্থতায় মা-বাবাসহ পুরো পরিবারে নেমে আসতে পারে অশান্তি। বিদায় নিতে পারে জীবন ও সংসারের সুখ পাখী। তাই জেনে নিন আপনার ছেলেকে বিয়ে দিয়ে সুখী করার ৮ উপায়-

১. ছোটবেলা থেকেই ছেলেসন্তানকে ঘরে-বাইরে দুই জায়গার কাজে একটু একটু করে দায়িত্ব দিয়ে তাকে সাবলম্বী করে তুলুন। কারণ ঘরের কাজ মানে শুধু মেয়েদের কাজ এমন দৃষ্টিভঙ্গির ফলে ছেলেরা স্ত্রী, বোন, মেয়ে এবং মায়ের কাজকে মূল্যায়ন না করে অবজ্ঞা করতে শেখে।

২. ছেলের অপরাধকে প্রশ্রয় দেয়াও এক রকম অপরাধ এবং এই মানসিকতা ছেলেকে পরবর্তীতে আরো অপরাধ করার সুযোগ করে দেয়। তাই ছেলে কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়লে তার ভুলত্রুটি সংশোধনে সহযোগী হোন। বিনোদন ও বন্ধুত্বের নামে অপসংস্কৃতি, ড্রাগস, ক্লাব পার্টির সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে কিনা খেয়াল রাখুন।

৩. পাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়ে ফর্সা, সুন্দরী, কম বয়সী, মেয়ের বাবার গাড়ি, বাড়ি, ব্যাংক ব্যালেন্স এসব বিবেচনা না করে পাত্রী ভালো মানুষ কিনা বিবেচনা করুন। পাত্রীর পরিবারের সবরকম খোঁজ নিন। বিয়ের ব্যাপারে ছেলেকে চিন্তা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা দিন।

৪. ছেলেকে ছোটবেলা থেকে নৈতিক শিক্ষা, পারিবারিক আদর্শ ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে বড় করে তুলুন। জীবনের লক্ষ্য সর্ম্পকে তাকে সুষ্পষ্ট ধারণা দিন।

৫. বিয়ের সময় মেয়ে ছাড়া শ্বশুড়বাড়ি থেকে সুতো নেয়াও যৌতুক। যৌতুক নেয়া কাপুরুষতা। আত্মসম্মানবোধসম্পন্ন প্রতিটি পুরুষের উচিত সসম্মানে তা ফিরিয়ে দেয়া।

৬. নিজের পরিবারের মতো স্ত্রীর পরিবারকেও একইরকম গুরুত্ব দিন, মনোযোগী হন। স্ত্রীর বাবা-মা, ভাই-বোনকে ভালবাসুন, শ্রদ্ধা করুন। কারণ স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পরিবারকে যথাযথ সম্মান, ভালবাসার মাধ্যমে পারিবারিক একাত্মতা বৃদ্ধি পায়।

৭.‘স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত’—এমন ধর্মীয় গোঁড়ামির দোহাই দিয়ে স্ত্রীর প্রতি সব বিষয়ে প্রাধান্য বিস্তার করবেন না। বরং স্ত্রীকে সহযোদ্ধা মনে করে তার গুণ ও মেধার বিকাশে সহযোগী হোন।

৮. পরিবারের আয় সম্পর্কে প্রথমেই মেয়েপক্ষকে সুষ্পষ্ট ধারণা দিন। এতে সমঝোতা বাড়বে। অযৌক্তিক প্রত্যাশাও কমে যাবে। বিয়ের পরে স্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্যতা এবং সৎ ইচ্ছা যদি ছেলের থাকে তবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি