ছেলেদেরও হতে পারে ব্রেস্ট ক্যানসার
প্রকাশিত : ১৯:৪৮, ২৬ এপ্রিল ২০১৮
অনেকেরই ধারণা, ব্রেস্ট ক্যানসার মানেই সেটি শুধুমাত্র মহিলাদের হবে। এটি পুরুষের হবে না। তবে এই ধারণাটি একেবারেই ভুল, এমনই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে ব্রেস্টক্যানসার ডট ওআরজি ওয়েবসাইটে।
সেখানে বলা হচ্ছে, পুরুষের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি অনেকটা বেশি। কারণ, সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে মহিলারা রুটিন ম্যামোগ্রাফি বা সেল্ফ এগজামিনেশন করে থাকেন। তাই প্রাথমিক স্টেজে এই রোগ ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ের সম্ভাবনাও বেশি। যেহেতু বেশিরভাগ পুরুষই এই ধরনের রুটিন টেস্ট করান না, তাই তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ ধরা পড়ে অনেকটা দেরিতে।
ব্রেস্ট ক্যানসার ডট ওআরজি-তে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুরুষ হোক বা মহিলা, ব্রেস্ট টিস্যু কিন্তু প্রত্যেকটি মানুষের শরীরেই রয়েছে। কিছু ব্রেস্ট-স্টিমুলেটিং হরমোনের কারণেই নারী শরীরে স্তন গঠিত হয়। কিন্তু পুরুষের শরীরে তেমন কোনও হরমোন যেহেতু সক্রিয় থাকে না তাই পুরুষ শরীরে ব্রেস্ট টিস্যুগুলি সমতল থাকে।
তবে কোনও কোনও পুরুষের বক্ষদেশ অপেক্ষাকৃত স্ফীত হয়। সাধারণত এগুলি মেদজনিত কারণে হয়। আবার অনেক সময়ে কিছু বিশেষ মেডিসিন নেওয়ার ফলে হরমোন লেভেলটি অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। তার ফলেও বক্ষস্ফীতি ঘটতে পারে। কিন্তু পুরুষ কিংবা মহিলা, উভয় দেহেই যেহেতু ব্রেস্ট টিস্যু রয়েছে, তাই ব্রেস্ট ক্যানসার যে কোনও দেহেই ঘটতে পারে।
সাধারণত পাঁচটি কারণে পুরুষ শরীরে এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে— বার্ধক্য, উচ্চ ইস্ট্রোজেন লেভেল, ক্লিনেফেল্টার সিনড্রোম (শরীরে পুং হরমোনের চেয়ে স্ত্রী-হরমোনের আধিক্য), ব্রেস্ট ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস বা জেনেটিক মিউটেশন এবং তেজস্ক্রিয় বিকিরণ।
ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণগুলি পুরুষ এবং মহিলাদের দেহে একই রকম। তাই মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেস্ট ক্যানসারের যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, পুরুষের ক্ষেত্রেও তাই। আরও একবার দেখে নেওয়া যাক। এই লক্ষণগুলির যে কোনও একটিও যদি দেখা যায় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া খুব জরুরি—
১. ব্রেস্টে যে কোনও ধরনের লাম্প গঠন
২. নিপল বা স্তনবৃন্তে ব্যথা
৩. ইনভার্টেড নিপল বা স্তনবৃন্ত ভিতর দিকে ঢুকে যাওয়া
৪. স্তনবৃন্ত ও আরিওলা অংশে ব্যথা
৫. বগলে স্ফীত লিম্ফ নোড
সূত্র: এবেলা
একে//