ছেলের মৃত্যুর শোকে বাবারও মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৭:০২, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে হত্যাকাণ্ডের শিকার সজীবুল ইসলামের অকালমৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মারা গেছেন তার বাবা দাউদ মোল্যা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেস্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে তিনি মারা যান। ছেলের নির্মম হত্যাকান্ডের শোকে বাবার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) ছেলে সজিবুলের মৃত্যুর খবর শোনার পর কেঁদেই চলেছেন বাবা দাউদ মোল্লা। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করেন স্বজনেরা। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর বাড়িতেই তার মৃত্যু হয়।
স্বজনরা জানায়, গত পাঁচ বছর ধরে জাহাজের বিভিন্ন পদে চাকরি করেছিল সজিবুল। সম্প্রতি জাহাজের চাকরিতে পদোন্নতি পেতে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তিনি। সেই ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন। মাঝের এই সময়টায় অলস বসে না থেকে সপ্তাহদুয়েক আগে এমভি আল বাখেরা জাহাজে গ্রিজার পদে চাকরি নেন।
নিহত সজীবুলের বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। মাস পাঁচেক আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
সজিবুলের মামা আহাদ সর্দার শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে সজিবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আজ ওর বিয়ের পাঁচ মাস পূর্ণ হবে। পদোন্নতি হলে বেতন বাড়বে, বড় জাহাজে চাকরি হবে এ কারণে পরীক্ষা দিয়েছিল। দুই সপ্তাহ আগে বাড়িতে ধান কাটার কাজ করে গেছে। যাওয়ার সময় বাড়িতে বলে গেছে রেজাল্টের অপেক্ষায় ঘরে বসে না থেকে ছোট একটা জাহাজে কাজ করে আসি, তাতে কিছু রোজগার হবে। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল।
মহম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান জানান, জাহাজে হত্যাকান্ডের শিকার সজিবুলের বাবা দাউদ মোল্যার মৃত্যুর সংবাদ রাতেই জানতে পেরেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।
এমবি
আরও পড়ুন