ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণ
প্রকাশিত : ১৮:১০, ২৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২০:৩৫, ২৪ আগস্ট ২০১৭
সাভার উপজেলার আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় এক চিকিৎসকের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলামের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।
সকালে আদালতে সাক্ষ্য দেন সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. শেফালিকা ভৌমিক। তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৪ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) জেসমিন আরা মিতু বলেন, সাক্ষী শেফালিকা ভৌমিক এ মামলার নিহতদের সঙ্গে থাকা বেঁচে যাওয়া অপর বন্ধু আল-আমিনের চিকিৎসা করেছিলেন। এ বিষয়েই তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন আদালত।
হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে, ৫২ জন জামিনে এবং একজন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবেবরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
নিহতরা হলো ধানমণ্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান। নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।
ওই ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল-আমিনসহ নিহতদের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক।
ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা গ্রামবাসীকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে। পরে মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এ অভিযোগপত্রের পরে মামলাটি বিচারের জন্য এই আদালতে এলে ২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এছাড়া ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া একমাত্র ভিকটিম আল-আমিনকে একই ঘটনায় করা ডাকাতি মামলা থেকে সেদিন অব্যাহতি দেওয়া হয়।
আরকে/ডব্লিউএন
আরও পড়ুন