ছয় জায়গায় চালু হচ্ছে ফাইভ-জি
প্রকাশিত : ০৮:৪১, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
রাষ্ট্রীয় মোবাইল ফোন অপারেটর সংস্থা টেলিটক রাজধানীর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ধানমন্ডি ৩২, বাংলাদেশ সচিবালয়, সংসদ ভবন এলাকা এবং সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকা ও টুঙ্গিপাড়া- এই ছয় জায়গা ফাইভ-জি কভারেজের আওতায় আনছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ খবর জানিয়েছেন। রবিবার ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে এই ৬টি স্পটে পরীক্ষণমূলকভাবে চালু হচ্ছে ফাইভ-জি। সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, পরবর্তী সময়ে টেলিটক ঢাকা শহরের ২০০টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ প্রযুক্তি সেবা চালু করবে। আগামী বছর মার্চে বেতার তরঙ্গ বরাদ্দ নিলামে দেওয়ার পর বেসরকারি তিনটি মোবাইল অপারেটর এ প্রযুক্তি চালু করবে। ২০২২ সালের পর টেলিটক ও বিটিসিএলের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চল বিশেষ করে স্পেশাল ইকোনমিক জোনগুলোয় এ সেবা চালু করার প্রস্তুতির কাজ চলছে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় এ প্রযুক্তির প্রথম পরীক্ষা সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন করেছি। রবিবার পঞ্চম ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসে বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা ভাচুর্য়ালি উপস্থিত থেকে এ ঐতিহাসিক যাত্রার শুভ উদ্বোধন করবেন।
তিনি বলেন, উদ্বোধনের এই মাহেন্দ্রক্ষণটি ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের ইতিহাসে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত দূরদৃষ্টি কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করছে। ২০২০ সালে বিশ্বের ৬-৭টি দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করতে সক্ষম হয়। মালয়েশিয়া আগামী মার্চে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু করতে যাচ্ছে। আমাদের জন্য অহংকারের বিষয় হচ্ছে, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো ফাইভ-জি যুগে যেতে পারেনি, আমরা যাচ্ছি।
এসএ/
আরও পড়ুন