ছয় বছর ধরে বন্ধ আনোয়ারা ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের কাজ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:২৫, ২৭ অক্টোবর ২০২২
ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চায়না ইকোনোমিক এন্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনের কাজ। কর্ণফুলীর নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কারণে নতুন এই অর্থনৈতিক জোনের গুরুত্ব অনেক বেড়েছে শিল্পদ্যোক্তাদের ও ব্যবসায়ীদের কাছে। আর এ জন্য প্রকল্পটির কাজ দ্রুত শুরুর দাবিও তাদের।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পাশে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে বাংলাদেশ এবং চীনের যৌথ অর্থায়নে ইকোনোমিক জোন গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয় ২০১৬ সালে। ওই বছরের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ঢাকায় বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণের আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের সময় প্রকল্পটি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।
যাতে চীনের বিনিয়োগ থাকার কথা শতভাগ। অংশিদারিত্ব হিসাবে বাংলাদেশ সরকারের ৩০ শতাংশ। বাকি ৭০ শতাংশ অংশিদারিত্ব চীনা বিনিয়োগকারীদের।
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চায়না এই অর্থনৈতিক জোন নির্মাণে অবকাঠামোগত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪২০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। উদ্বোধনের পর সীমানা প্রাচীর এবং একটি সড়ক নির্মাণ ছাড়া আর তেমন কোন কাজ এগোয়নি। বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ।
স্থানীয়রা জানান, কি কারণে বন্ধ আছে তা বলতে পারবো না। যদি চালু হতো তাহলে অনেক লোকের কর্মসংস্থা হতো এখানে।
কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের কারণে চায়না এই অর্থনৈতিক জোনের গুরুত্ব বেড়েছে বলে মনে করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিরা। তাই দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন তারা।
ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী শিল্পপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “যখন টাউনশীপ ডেভেলপ করবে তখন টাউনের বিস্তৃতি ঘটবে। ওই এলাকার জীবন মানের উন্নতি হবে।”
বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সেলিম উদ্দিন বলেন, “ইতিমধ্যে স্থানীয়ভাবে সমস্ত শিল্পায়ান বিশেষ করে চাইনিজ, কোরিয়ান এবং বাংলাদেশের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ আকৃষ্ট করেছে। মানুষ ইতিমধ্যে শিল্পায়ন গড়ে তুলছে।”
অর্থনৈতিক অঞ্চলটিতে তৈরি পোশাক, রাসায়নিক, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেলিযোগাযোগ, কৃষি নির্ভর শিল্প কারখানা, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী, চিকিৎসা সামগ্রীসহ তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলার কথা।
ঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পাশে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রায় ৭৮৩ একর জমিতে চায়না ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কথা। দীর্ঘদিন ধরে এই ইকোনমিক জোনের কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে বিরাজ করছে হতাশা। কর্মসংস্থান, অর্থনীতিকে স্বাবলম্বি করা এবং শিল্প কল-কারখানা গড়ে তোলার জন্য দ্রুত কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এএইচ
আরও পড়ুন