জঙ্গীবাদ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো বেশি আক্রমাত্মক কৌশলে আসতে হবে
প্রকাশিত : ১৪:০৮, ৩ জুলাই ২০১৬ | আপডেট: ১৪:০৮, ৩ জুলাই ২০১৬
জঙ্গীবাদ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো বেশি আক্রমাত্মক কৌশলে আসতে হবে। তাছাড়া জঙ্গীত্ববাদের পৃষ্ঠপোষক ও মদদ দাতাদের দমন করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। গুলশানের স্প্যানিশ রেস্তোরায় সন্ত্রাসী হামলা দেশের জন্য নতুন দুশ্চিন্তার কারণ বলেও মন্তব্য করেন তারা। সমস্যা সমাধানে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা গত দেড় দশকে সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম যত বাড়িয়েছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলা। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে সন্ত্রাসী ঘটনা বেড়েই চলেছে।
কেবল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ, তিন মাসে দুই শতাধিক সন্ত্রাসী হামলায় কেঁপে উঠেছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান। সবশেষ শুক্রবার রাতে রাজধানীর ‘হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোরায়’ এমনি ভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সন্ত্রাসীরা। এতে হামলাকারীসহ প্রাণ হারিয়েছেন ২৮ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
জঙ্গীবাদ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিণীকে রক্ষনাত্মক কৌসল থেকে আরো বেশি আক্রমাত্মক কৌশলে আসতে হবে বলে মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
গুলশানে সন্ত্রাসী হামলা কেবল মাত্র বিদেশী নাগরিকদের মাঝে ভীতি তৈরীর ব্যর্থ চেষ্টা বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘অপারেশ থান্ডার বোল্ট’ সফল হলেও আগামীতে এমন হামলার প্রেক্ষাপট মোকাবেলায় জঙ্গী তৈরী বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তারা।
আর ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা প্রতিরোধে সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যের উপর জোড় দেন তিনি।
আরও পড়ুন