জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: ডিএমপি
প্রকাশিত : ১৪:৪২, ১১ জুলাই ২০২৪
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ: মহিদ উদ্দিন বলেছেন, কোটা নিয়ে আদালত নির্দেশনা দিয়েছেন, তাই এ নিয়ে আন্দোলনের কোনো অবকাশ নেই। এরপরেও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ওপর সর্বোচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন। ফলে শিক্ষার্থীদের আর জনদুর্ভোগ করার কোনো অবকাশ আছে বলে ডিএমপি মনে করে না। যারা আন্দোলন করছেন তাদের প্রতি পুলিশের অবশ্যই ভালোবাসা, সহমর্মিতা আছে। কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে দেশের প্রচলিত আইন ও সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। সে জায়গা থেকে যেহেতু শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত, ফলে ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ করছি, তারা যেন জনদুর্ভোগ হয় এমন কোনো কর্মসূচি না দেয়।
তিনি বলেন, গতকাল ২১টি পয়েন্টে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করেছি, কথা বলেছি। এটা মনে রাখতে হবে যে, ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নগরবাসীর নিরাপত্তা, চলাফেরা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাধ্য। কাজেই আশা করব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কী আবেদন, সর্বোচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা... তারা মানবেন। আদালতের নির্দেশনাও শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছে।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে, গত ৭ জুলাই রথযাত্রা হয়েছে, পুলিশকে প্রচণ্ড পেশার নিতে হয়েছে। এরপর আবার রথযাত্রা আছে, আশুরার অনুষ্ঠান আছে। যেহেতু এটা সেটেল হয়ে গেছে, সুতরাং এর মধ্যে কোনও কর্মসূচি দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না।
তিনি বলেন, এরপরও যদি কেউ নিজেদের অবস্থানে থাকেন বা আমাদের কথা না শোনেন, আদালতের নির্দেশনা না মানেন... তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ আমাদের জবাবদিহিতা তো সবার কাছে। সবার অধিকার তো আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা পদ্ধতি বাতিল এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত শনিবার শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি শেষে সারা দেশে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, মহাসড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দেন। এ কর্মসূচিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে সেই আন্দোলন রূপ নেয় এক দফায়।
এএইচ
আরও পড়ুন