ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

জনপ্রতিনিধি নিয়ে মাদক প্রতিরোধ করা হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২১:৩০, ৪ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ২১:৩৩, ৪ এপ্রিল ২০১৯

জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় সীমান্তে মাদকসহ সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

৩২টি সীমান্তবর্তী জেলার সংসদ সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ঢাকায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদর দফতর পিলখানায় আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভায় সংসদ সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন এবং এসব সমস্যা সমাধানে পরামর্শ দেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে আমরা কাজ করছি। জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগে সীমান্তে সকল প্রকার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

তিনি বলেন, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের সীমান্তবর্তী দুইটি দেশের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে আলোচনা হচ্ছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধে আমাদের আলোচনা চলছে। তাছাড়া নিয়মিত বিজিবি-বিএসএফ-বিজিপি’র মহাপরিচালক পর্যায় এবং ডিসি-ডিএম বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে। মিয়ানমারের সঙ্গেও আমরা একইভাবে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।

সীমান্তে সারভেইলেন্স সিস্টেম চালু হয়েছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে লিংকরোড হচ্ছে। সীমান্তে গরু পাচারও কমেছে। এতে আমাদের দেশে গরুর উৎপাদন বেড়েছে।

সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সবাই মিলে মাদক নির্মূল করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। কোন মাদক কারবারিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। আমরা মাদক আইনকে যুগোপযোগী করেছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ তে ইয়াবাকে মাদকের অন্তর্ভুক্ত করেছি। বর্তমানে কারাবন্দিদের অর্ধেকের বেশি মাদক আইনে বন্দি। এজন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ দরকার।

তিনি আরও বলেন, অপরাধ দমনের জন্য আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে শক্তিশালী করছি। বিজিবির বিওপি’র সংখ্যা বৃদ্ধি হচ্ছে। বিজিবিতে আরও ১৫ হাজার সদস্য নিয়োগ দেওয়া হবে। এতে আরও ৪ টি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার যোগ হবে। কোস্টগার্ডকে আরও আধুনিক করছি। র‌্যাব ও পুলিশের আরও আধুনিকায়ন হচ্ছে। পুলিশে সাইবার ক্রাইম দমনে সাইবার ইউনিট হয়েছে।

সভায় সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার ৬২ জন সংসদ সদস্য, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, পুলিশের আইজিপি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক, এনবিআরের প্রতিনিধি, ৮ বিভাগের কমিশনার, সীমান্তবর্তী ৩২টি জেলার জেলা প্রশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি