ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জনস্বাস্থ্য ও চিকিৎসায় ২১টি গবেষণা সেরা নির্বাচিত

তানভীরুল ইসলাম

প্রকাশিত : ২০:১৯, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২১:১৭, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

দেশের চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য বিষয়ে ২১টি গবেষণাকে সেরা নির্বাচন করেছে বাংলাদেশের ক্লিনিক্যাল রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম। দেশে প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত ১ম সায়েন্টিফিক কংগ্রেস অন নন কমিউনিকেবল ডিজিজেসে অংশগ্রহণকারী চিকিৎসকদের মধ্য থেকে নির্বাচন করা হয় সেরা ২১টি গবেষণা। 

গত ২১ ও ২২ অক্টোবর কংগ্রেস আয়োজনে সম্মাননা প্রদান করা হয় গবেষকদের। দুদিনব্যাপি কংগ্রেসে প্রদর্শিত গবেষণা ও পোস্টার থেকে দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক, গবেষক ও বিজ্ঞানীদের জুড়ি বোর্ড নির্বাচন করেন সেরা গবেষণা।
 
সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরনী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহিদুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া, বিএসএমএমইউ-এর প্রোভিসি (শিক্ষা) শাহানা আক্তার রহমান, আইসিডিডিআরবির এইচএসপিএসডি সিনিয়র ডিরেক্টর ড্যানিয়েল রিডপ্যাথ ও কংগ্রেসের কনভেনর ও আইসিডিডিআরবির নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ ইনিশিয়েটিভ শাখার প্রধান ড. আলিয়া নাহিদ।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর কাজী শহিদুল্লাহ জানান, ‘আমাদের দেশে এখন নানা মাত্রায় গবেষণা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এখন ভীষণ আগ্রহ নিয়ে গবেষণা করছেন। দেশে এ ধরণের কংগ্রেস আমাদের চিকিৎসকদের বহুমাত্রিক গবেষণা করতে মনোযোগী করে তুলবে। গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশের মাধ্যমে গবেষকরা নিজেদের দক্ষতা যেমন বিকাশ করার সুযোগ পাচ্ছেন, তেমনি আমাদের নীতিনির্ধারণেও দিকনির্দেশনা পাওয়ার সুযোগ বাড়ছে’।

 স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের দেশের স্বাস্থ্যখাতে অগ্রগতি চোখে পড়ার মতো। চিকিৎসকেরা যেমন দায়িত্ব পালন করছেন, তেমনি গবেষণাতেও মনোযোগ দিচ্ছেন। অসংক্রামক রোগের ওপর এত গবেষণা যে  বাংলাদেশের চিকিৎসকেরা করছেন তা অবাক করে দেয়। এমন আয়োজন তরুণ চিকিৎসকদের ভিন্নমাত্রায় গবেষণায় আগ্রহী করে তুলতে উৎসাহমূলক একটি আয়োজন।

কংগ্রেসের চেয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘চিকিৎসকরা অনেক পরিশ্রম করেন। দিনে ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা কাজ করেন অনেকেই। একদিকে চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্বপালন। অন্যদিকে গবেষণায় নিজেকে স্থির রাখা একটি চ্যালেঞ্জ। তরুণ গবেষকরা নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গবেষণায় ভীষণভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেছে। এ ধরণের কংগ্রেস শুধু তাদের অনুপ্রেরণায় দেয় না, দক্ষ চিকিৎসক হয়ে ওঠতে সহায়তা করে।’

গ্রামের ডায়াবেটিক রোগীদের অবস্থান, দেশের সাধারণ মানুষের স্ট্রোকের ঝুঁকি প্রবণতা, দেশে স্টেম সেল গবেষণা, ভিটামিন ডি’র মাত্রায় সুপাড়ির প্রভাব, রিউম্যাটিক রোগের ইকোকার্ডিওগ্রাফিক অ্যাসেসমেন্টের মত বিভিন্ন গবেষণা প্রবন্ধ ও পোস্টার সেরা হিসেবে সম্মাননা লাভ করে। সমাপনী আয়োজনে ৯টি ক্যাটাগরিতে মোট ২১টি সেরা গবেষণা ও পোস্টারকে পুরষ্কৃত ও সম্মাননা দেয়া হয়। সেরা গবেষণার ১১টিই ছিল নারী গবেষকদের গবেষণা ও পোস্টার প্রদর্শনী।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি