জন্মদিনে পরিমনির বিশেষ পরিকল্পনা
প্রকাশিত : ১৭:০৬, ২৩ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১১:০৫, ২৪ অক্টোবর ২০১৭
সত্যিকারের পরী না হলেও তিনি ডানা কাটা পরী। হালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা। নজরকারা গ্ল্যামার নিয়ে ঢাকাই চলচ্চিত্রে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে যাচ্ছেন। অল্প সময়ে দর্শকদের হৃদয়ের মনিকোটায় স্থানও করে নিয়েছেন। তিনি নায়িকা পরিমনি। কাল ২৪ অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। পরিমনির জন্মদিন উপলক্ষ্যে একুশে টেলিভিশন (ইটিভি) অনলাইনের পক্ষ থেকে আগাম শুভেচ্ছা।
জন্মদিন নিয়ে পরিমনির পরিকল্পনা কি; এ বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে। তিনি একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে জানান জন্মদিন নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনার কথা। সেই সঙ্গে ভালোলাগার কথা। তার সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন – সোহাগ আশরাফ।
মিডিয়ায় পরিমনির শুরুটা হয়েছিল ছোটপর্দায় অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। কিন্তু স্বপ্নটা ছিল বড় পর্দারই। অভিনয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন এমন স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই। কিন্তু চাইলেই তো আর অভিনয় করা যায় না। তাও আবার চলচ্চিত্রের মতো এত বড় একটি মাধ্যমে। সে জন্যই আস্তে আস্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, প্রথমে নাটক, তারপর বিজ্ঞাপন- এরপরই চলচ্চিত্র।
১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর সাতক্ষীরায় পরীমনির জন্ম। শৈশবে বাবা মনিরুল ইসলাম ও মা সুলতানাকে হারানোর পর পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে পরীমনির বেড়ে উঠা।
ব্যাক্তি পরিমনি একজন সহজ-সরল ও কিউট। অভিনয় করেন নিজের ভালো লাগা থেকে। সেই সঙ্গে ভালোবাসেন দর্শকদের। জন্মদিনে পরিমনি একান্ত সময় কাটাতে চান। তবে প্রিয়জনদের সঙ্গে সন্ধ্যার পরে আয়োজন করবেন বিশেষ অনুষ্ঠান। খুবই কাছের কিছু মানুষদের নিয়ে কেক কাটবেন তিনি। এর পাশাপাশি দিনের প্রথম ভাগে সময় কাটাবেন দু:স্থ শিশুদের সঙ্গে।
এ বিষয়ে পরি একুশে (টিভি) অনলাইনকে বলেন, বিশেষ কোন বড় আয়োজন রাখছি না। পরিবার, পরিজন ও কিছু কাছের মানুষদের নিয়ে সন্ধ্যায় একটা আয়োজন থাকবে। তবে সকালটা আমি শিশুদের সঙ্গে কাটাবো। একটি দু:স্থ শিশুদের স্কুলে যাবো। সেখানে তাদের সঙ্গে কিছু ভালো মুহুর্ত কাটাতে চাই।
পরিমনি হালের একজন জনপ্রিয় ব্যস্ত চিত্র নায়িকা। তবে সব ব্যস্ততার মধ্যেও নিজেকে যুক্ত রেখেছেন সেবামূলক কাজের সঙ্গে। এফডিসিতে কোরবানি দিয়ে দরিদ্র ও অসচ্ছল সহশিল্পীদের মধ্যে মাংস বিতরণ, অসহায় শিল্পী, কবি, সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা সহ বিভিন্ন সময় দেখা যায় আবেগি পরিকে।
এ বিষয়ে পরিমনি বলেন, ‘বিষয়টা লোক দেখানো নয়। তাই এটা ঘটা করে বলার কিছুই নাই। তবে আল্লাহ আমাকে যতদিন সামর্থ্য দেবেন, আমি ততদিন মানুষের সেবা করে যেতে চাই। এই কাজগুলো আমার ভেতর থেকেই আসে।’
দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা নিয়েই এতোটা পথ এসেছি। সামনের দিনগুলোতে মানুষের ভালোবাসা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই। ভালো কিছু সিনেমায় অভিনয় করে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে চাই।’
উল্লেখ্য, পরিমনি আলোচনায় আসেন নজরুল ইসলাম খানের ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই। পরবর্তীতে ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘পাগলা দিওয়ানা’ ও ‘দরদিয়া’, এস এ হক অলীকের ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
২০১৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হল ‘মনজুড়ে তুই’, ‘ইনোসেন্ট লাভ’, ‘লাভার নাম্বার ওয়ান’, ‘নগর মাস্তান’, ‘মহুয়া সুন্দরী’। ২০১৬ সালে মুক্তি পায় ‘মন জানে না মনের ঠিকানা’, ও ‘পুড়ে যায় মন’।
এছাড়া শামীমুল ইসলামের ‘আমার প্রেম আমার প্রিয়া’, গিয়াসউদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্ন জাল’, মালেক আফসারীর ‘অন্তর জ্বালা’, ওয়াজেদ আলী সুমনের অ্যাকশনধর্মী ‘রক্ত’, দেবাশীষ বিশ্বাসের ‘মন জ্বলে’ এবং সৈকত নাসিরের ‘পাষাণ’, ‘নদীর বুকে চাঁদ’, ‘সোনা বন্ধু’, ‘কত স্বপ্ন কত আশা’, ‘আপন মানুষ’, ‘বুকের মাঝে প্রেমের আগুন’, ও শফিক হাসানের ‘ধূমকেতু’।
এসএ / এআর