জবি শিক্ষার্থী খাদিজার জামিন, মুক্তিতে আর বাধা নেই
প্রকাশিত : ১৪:৩৬, ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | আপডেট: ১৪:৪০, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
দীর্ঘ ১৫ মাস পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কোবরাকে জামিন দিয়েছে আপিল বিভাগ। এর ফলে তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৬ সদস্যের আপিল বেঞ্চ খাদিজার হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রাখেন।
জামিনের বিষয়টি মুঠোফোনে নিশ্চিত করেছেন খাদিজার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তিনি বলেন, প্রায় ১৫ মাস পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার খাদিজা জামিন পেয়েছেন। এর ফলে তার মুক্তিতে আর বাধা নেই।
জামিনের সংবাদে উচ্ছ্বসিত হয়ে খাদিজার বোন সিরাজুম মুনিরা বলেন, হ্যাঁ, খাদিজা জামিন পেয়েছেন। আজ আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি। সবার কাছে খাদিজার জন্য দোয়া চান তিনি।
অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে ২০২০ সালে অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরা এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় আলাদা দুটি মামলা করে পুলিশ।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে করা দুটি মামলার এজাহারের অভিযোগ এবং বর্ণনা প্রায় একই রকম। তবে সরকার বিরোধী এসকল বক্তব্য খাদিজার নিজের নয় বলে দাবি খাদিজার পরিবারের।
একটি মামলার বাদী নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার এসআই আরিফ হোসেন। দুই বাদীই দায়িত্ব পালনকালে মুঠোফোনে ইউটিউবে ঘুরতে ঘুরতে খাদিজাতুল কুবরা ও মেজর (অব.) দেলোয়ার হোসেনের ভিডিও দেখতে পান। তারপর দুজনই নিজ নিজ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
খাদিজার জাতীয় পরিচয়পত্র ও একাডেমিক ডকুমেন্টে বয়স ১৭ বছর কিন্তু তাকে প্রাপ্তবয়স্ক দেখিয়ে ২০২০ সালের ১১ ও ১৯ অক্টোবর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ।
এর দুই বছর পর মামলার অভিযোগপত্র তৈরি হলে ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট মিরপুরের বাসা থেকে খাদিজাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একাধিকবার নিম্ন আদালতে খাদিজার জামিনের আবেদন করলেও তা না মঞ্জুর হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্ট তার জামিন মঞ্জুর করলেও রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি তা স্থগিত করেন।
এর ধারাবাহিকতায় বিষয়টি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আজ শুনানি হয়।
এএইচ
আরও পড়ুন