জবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস
প্রকাশিত : ১০:৩০, ১৪ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১০:৩৩, ১৪ অক্টোবর ২০১৭
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১৭- ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগেই চার পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন পাওয়া গেছে। শুক্রবার বিকালে পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগে কিছু শিক্ষার্থীদের আটক করে তাদের মোবাইল জব্দ করা হয়। মোবাইলে থাকা প্রশ্নের স্কেনকপির সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়ায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রুনা লায়লা তাদের প্রার্থিতা বাতিল করে।
পরীক্ষার্থীরা হলেন- শওকত হোসেন চৌধুরী (রোল-১০৬৯৭৭), আয়শা আক্তার লতা (রোল-১০২৫৮৬), মেহেদী হাসান (রোল-১০৮২৬৮) ও নাজমুল ইসলাম (রোল-১০৫৩১৭)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, যে পদ্ধতিতে আমরাবার কোড, কালার কোড ও ভিন্ন ভিন্ন সেটে পরীক্ষা নিয়ে থাকি যা ফাঁকি দেওয়া জালিয়াত চক্রের সাধ্যের বাইরে। আমরাই প্রথম প্রশ্ন ফাঁস রোধে বারকোড ও কালার কোড পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছি। তা এখন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণ করছে। এখানে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত জবিসহ ২৭টি পরীক্ষা কেন্দ্রে একযোগে বিজ্ঞান অনুষদ ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ অন্তর্ভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এই ইউনিটের ৭৯৭টি আসনের বিপরীতে ৫৯ হাজার ৪৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার আবেদন করেছিলেন।
আর/এআর
আরও পড়ুন