জবির ক্যান্টিন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
প্রকাশিত : ১০:১৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যান্টিন ক্যাশিয়ারকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইনের অনুসারী।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের নিচতলায় ক্যাফেটেরিয়ায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ক্যান্টিন ক্যাশিয়ার তুষার গুরুতর আহত হন। তার মাথার পেছনে রক্ত জমাট বেঁধে গেলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, অভিযুক্ত সাজবুল ইসলাম ক্যান্টিনে ফ্রিতে দুই প্লেট খাবার খাওয়ার পর আরও দুই প্লেট খাবার পার্সেল দিতে বলেন। পরে ক্যান্টিনের কর্মী তুষার তাকে বিলের কথা বললে ছাত্রলীগের আরেক নেতা মিরাজ হোসেন বিল দিবে বলে জানায় সাজবুল। মিরাজকে ফোন দিয়ে জানানোর কথা বললে ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ক্যান্টিনের রান্নাঘরে ঢুকে লোহার বড় চামচ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, পরে ক্যান্টিনের পরিচালক মাসুদসহ আরও কয়েকজন ছাড়াতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে অনবরত মারধর করেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
এতে ক্যান্টিন কর্মী তুষারের মাথায় ও হাতের বাহু জখম হয় এবং পিঠসহ পুরো শরীর ফুলে যায়। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
আহত ক্যান্টিন কর্মী তুষার বলেন, “খাবার চাইলে আমি বিলের কথা বলি। তখন সাজবুল আমাকে মিরাজ ভাই বিল দিবে বলে জানায়। আমি শুধু বলেছিলাম মিরাজ ভাইকে একটু ফোন দিয়ে জানান। তখনই সে রান্নাঘরে ঢুকে বাবুর্চির ব্যবহৃত লোহার চামচ দিয়ে মারধর করেন।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাজবুল ইসলাম সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। আমি এমন কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।”
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস.এম আকতার হোসাইন বলেন, কোনো ব্যক্তির দায়ভার সংগঠন নিবেনা। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তের বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেছি। দেখা যাক, তারা কি ব্যবস্থা নেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ এলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়িচালকে মারধরের ঘটনায় এজহারভুক্ত আসামি সাজবুল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ও ক্যাম্পাসে তুচ্ছ ঘটনায় সিনিয়রদের মারধরের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এএইচ
আরও পড়ুন